এবার বিশ্বকাপেও কি থাকছে সুয়ারেজের কামড়?

মাঠে সুয়ারেজ থাকা মানে যেমন গোলের নিশ্চয়তা, তেমনি নানা ঘটনারও! ছবি: রয়টার্স
মাঠে সুয়ারেজ থাকা মানে যেমন গোলের নিশ্চয়তা, তেমনি নানা ঘটনারও! ছবি: রয়টার্স

উরুগুয়ে ও বার্সেলোনার অন্যতম ভরসার নাম লুইস সুয়ারেজ। মানুষ যে শুধু তাঁর গোলের অপেক্ষায় থাকেন তা কিন্তু নয়। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে তিনি কখন কামড় বসাবেন এর অপেক্ষাতেও থাকেন অনেক দর্শক! মজা করে বলা হয়, গোল করার পাশাপাশি সুয়ারেজ বুঝি কামড়েরও অনুশীলন করেন প্রতিদিন। বলাটা দোষের নয়, অতীত রেকর্ড অন্তত তাই বলে।

গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলতে উরুগুয়ে মাঠে নেমেছিল ইতালির বিপক্ষে। ম্যাচ খুব স্বাভাবিকই গতিতেই চলছিল কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই ঘটল অঘটন। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই ইতালিয়ান ডিফেন্ডার কিয়েলিনিকে কামড় দেন সুয়ারেজ। তবে এর থেকেও মজার দৃশ্যটি ঘটল একটু পর। কিয়েলিনিকে কামড় দিয়ে সুয়ারেজ এমন ভাব করলেন যেন কামড় দিয়ে তিনি নিজেই ব্যথা পেয়েছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপটা তাই উরুগুয়ের জন্য খুব একটা উপভোগ্য ছিল না। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি মাঠে ছিলেন মাত্র ১৭৮ মিনিটের জন্য! অথচ সেবার উরুগুয়ের ভক্তদের চোখ ছিল সুয়ারেজের দিকেই।

রাশিয়া বিশ্বকাপেও উরুগুয়ে দলের মূল আকর্ষণ সেই সুয়ারেজই। তবে, গত বিশ্বকাপের মতো এবারও কিছু করবেন কি না এ নিয়েই মূলত সবাই আগ্রহ। সুয়ারেজের দাবি অবশ্য তিনি আর আগের মতো নেই। গত বিশ্বকাপ নিয়েও তাঁর আক্ষেপটা স্পষ্ট, ‘২০১৪ বিশ্বকাপে যেভাবে মাঠ ছেড়েছিলাম আশা করছি সেরকম কিছু আর হবে না। এবারের বিশ্বকাপটা আমি একেবারেই আমার করে নিতে চাই। আমি জানি, কামড় দেওয়ার ঘটনাগুলোর কারণেই মানুষের কাছে আমি বিশেষভাবে পরিচিত কিন্তু আমি নতুন কিছু করতে চাই যার কারণে মানুষ আমাকে মনে রাখবে।’

নতুন কিছু করার প্রত্যাশাই শুধু করছেন না সুয়ারেজ, উরুগুয়েকে নিয়ে এবার বিশ্বকাপ জয়েরও স্বপ্ন দেখছেন এই স্ট্রাইকার। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের উরুগুয়ের দলটি বেশ শক্তিশালী, আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস আছে। উরুগুয়ের হয়ে আমি এবারের বিশ্বকাপের একটি অংশ হতে চাই। হতেও তো পারে এটি শুধুই আমার বিশ্বকাপ। আমি অন্তত তাই আশা করি।’

আগামী ১৫ তারিখ সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে উরুগুয়ের এবারের বিশ্বকাপ। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ মিসরের জন্যও তাই। মোহাম্মদ সালাহর মিসরকে কীভাবে মোকাবিলা করেন এখন সেটাই দেখার বিষয়।