মরক্কোকে বিদায় জানিয়ে দিলেন রোনালদো

রেকর্ড গড়েছেন, ম্যাচও জিতিয়েছেন রোনালদো। ছবি: রয়টার্স
রেকর্ড গড়েছেন, ম্যাচও জিতিয়েছেন রোনালদো। ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ শুরু হওয়ার আগ থেকেই সবার মুখে একটি নাম—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচ শেষেও তাই। প্রথম দল হিসেবে মরক্কো যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল, সেটা তো রোনালদোর কারণেই। ৪ মিনিটে রোনালদোর এনে দেওয়া লিড ধরে রেখে ম্যাচ বের করে নিয়েছে পর্তুগাল। আর ১-০ ব্যবধানে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২০ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন পর্ব শেষ হলো মরক্কোর।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই একটা রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। প্রথম কোনো খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আজ সেই রেকর্ডও ম্লান হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচের মতোই ৪ মিনিটে গোল করেছেন রোনালদো। সে গোলেই ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছুঁয়েছেন, ছাড়িয়ে গেছেন পুসকাসকে।

বিশ্বকাপে ৬টি গোল করে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ গোল ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিকের বদৌলতে অধিনায়ক হিসেবে রোনালদোর গোল ছিল ৫টি। আজ গোল করে ম্যারাডোনার রাজত্বে ভাগ বসিয়েছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন ৮৫ গোল রোনালদোর। ইউরোপিয়ান অঞ্চলে জাতীয় দলের হয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গোল এই রিয়াল ফরোয়ার্ডের। এত দিন এ রেকর্ড ছিল আরেক রিয়াল তারকা পুসকাসের। হাঙ্গেরির হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৮৪ গোল তাঁর।

এ ম্যাচ পর্তুগাল যদি মনে রাখে, তবে এ রেকর্ডের কারণেই। কারণ, প্রথম ২০ মিনিট বাদে ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণ করেছে মরক্কো। বল দখল, আক্রমণ সৃষ্টি এবং রক্ষণে ভয় জাগানো—সবকিছুতেই এগিয়ে ছিলেন হাকিম জিয়েশ-ইউনেস বেলহানদারা। ম্যাচের প্রথমার্ধে তবু রোনালদো, বার্নার্দো সিলভা কিংবা গেদেসরা পাল্টা আক্রমণে উঠেছেন। ৩৯ মিনিটে মুনির মোহামেদি দারুণ এক সেভ না করলে বিশ্বকাপে প্রথম গোল পেয়ে যেতে পারতেন গনসালো গেদেস। পর্তুগালও ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারত।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের সুযোগ নষ্ট করার দোষে দোষী হয়েছেন রোনালদো। গেদেসের দারুণ এক পাস খুঁজে নিয়েছিল ফাঁকায় থাকা রোনালদোকে। কিন্তু প্রায় উন্মুক্ত গোল পেয়েও অনেক উঁচুতে মেরেছেন রোনালদো।

৫৭ মিনিটে মরক্কো সমতায় ফিরতে পারত। কিন্তু বেলহানদার হেড অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন রুই প্যাত্রিসিও। ৬০ মিনিটে অবশ্য প্যাত্রিসিও বাধা হতে পারতেন না। কিন্তু মরোক্কান অধিনায়ক মেধি বেনিতিয়া সহজতম সুযোগ আকাশে পাঠিয়েছেন।

এরপরও গোটা চারেক গোলের সুযোগ পেয়েছে মরক্কো। কিন্তু কখনো ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা, কখনো পর্তুগিজ রক্ষণের দৃঢ়তা তাদের গোল পেতে দেয়নি। এতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আফ্রিকান দেশটির। 

আর মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জয় পেয়ে দ্বিতীয় পর্বের দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছে পর্তুগাল।