গোল বাতিলের দুঃখে হাসপাতালে ইরানের এক কোচ

ম্যাচ শেষে এভাবেই হতাশায় ভেঙে পড়েন ইরানের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
ম্যাচ শেষে এভাবেই হতাশায় ভেঙে পড়েন ইরানের ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স

বল জালে জড়ানোর পরও গোল বাতিল হওয়াটা ভয়ংকর কষ্টের। এই মুহূর্তে কষ্টটা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারছে ইরান দল। গতকাল স্পেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে একবার ‘সমতায়’ ফিরেছিল এশিয়ান প্রতিনিধিরা। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) বিচারে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে যায় গোলটি। এই দুঃখ সইতে না পেরে ইরান দলের একজন কোচিং স্টাফকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। 

ম্যাচ শেষে এ খবরটা জানিয়েছেন মূল কোচ কার্লোস কুইরোজ, ‘আমাদের বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে আমাদের দলের এক সদস্য ভিএআরের সিদ্ধান্ত সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে হাসপাতালে আছে। আমরা আশা করি, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সবার দোয়া তার সঙ্গে রয়েছে।’ তবে সেই সদস্যের নাম প্রকাশ করেননি পর্তুগিজ কোচ।

প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের পর গতকাল স্পেনকেও প্রায় থামিয়ে দিয়েছিল ইরান। ২০১০ বিশ্বকাপ চাম্পিয়নদের বিপক্ষে সারা ম্যাচ দুর্দান্ত খেলেছে কুইরোজের শিষ্যরা। কস্তা, ইনিয়েস্তা, সিলভাদের ঠেকিয়ে রাখার কাজটিই করে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৫৪ মিনিটে সেই বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন দিয়েগো কস্তা।

স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের গোলের ৮ মিনিট পরেই স্পেনের জালে বল পাঠিয়েছিলেন সাইদ এজাতোলাহি। কিন্তু তাঁদের সেই আনন্দ মাটি হয়ে যায় ভিএআর প্রযুক্তিতে অফসাইড ধরা পড়ে যাওয়ায়। যা সইতে পারেনি ইরান দলের কোচিং স্টাফটি।

এখনো ইরানের দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা ভালোভাবেই আছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে হারালেই প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোয় চলে যাবে দেশটি। আর যদি স্পেন মরক্কোর কাছে হেরে যায় তবে ড্র করেও আশা থাকবে।