ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন উমর!

২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে দাবি করলেন উমর। ফাইল ছবি
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে দাবি করলেন উমর। ফাইল ছবি
>২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন উমর আকমল। তিন বছর পর এমনটা দাবি করে পাকিস্তানের এই বিতর্কিত ক্রিকেটার বড় ঝামেলাতেই পড়তে যাচ্ছেন...

ভালো কোনো কারণে খবরের শিরোনাম উমর আকমল শেষ কবে হয়েছিলেন মনে করাই কঠিন। এবারও চমকে দেওয়া খবরের কারণেই আলোচনায় এলেন পাকিস্তানের এই তারকা ব্যাটসম্যান। উমরের দাবি, ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে। টিভিতে এই বক্তব্য দেওয়ার পর এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জরুরি তলব করেছে উমরকে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ, নিয়ম আছে, এ ধরনের প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানাতে হবে। কেউ রিপোর্ট করতে ব্যর্থ হলেও তাঁকে বড় শাস্তি পেতে হয়। অথচ উমর ঘটনাটি বলছেন তিন বছর পরে এসে!

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ৭৬ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে উমর শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এত দিন পরে এসে পাকিস্তানের সামা টিভিকে উমর বলছেন, সেই ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের লোভনীয় প্রস্তাব এসেছিল তাঁর কাছে, ‘দুটো বল ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ওরা আমাকে ২ লাখ ডলার দিতে চেয়েছিল। এটা ছিল ভারতের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ।’

উমর এ–ও বলেছেন, শুধু বল ছেড়ে দেওয়া নয়, ম্যাচটি না খেলার জন্যও প্রস্তাব ছিল তাঁর কাছে, ‘আগেও এমন অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। ভারতের বিপক্ষে যখনই আমরা খেলতাম, তখনই কোনো না প্রস্তাব আসত। এ–ও প্রস্তাব ছিল, কোনো একটা বাহানা করে আমি যেন ম্যাচটা না খেলি। এর বিনিময়েও আমাকে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু ওদের সাফ বলে দিয়েছিলাম, পাকিস্তানের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতে যেন কখনো এ ধরনের কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসা না হয়।’

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা উমরের এই মন্তব্য তাঁকে ঝামেলায় ফেলতে যাচ্ছে। আইসিসি ও পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের প্রস্তাব পেলেও তা অবহিত করতে হয়। উমর তা করেননি বলেই মনে হচ্ছে। পিসিবি এরই মধ্যে তাঁকে নোটিশ দিয়েছে। ২৭ জুন লাহোরে বোর্ডের দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের কাছে এসে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।