কেন এত বাজে খেলছে স্পেন?

কোনো রকমে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন। ছবি: রয়টার্স
কোনো রকমে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন। ছবি: রয়টার্স

গ্রুপ ‘বি’-এর দলগুলোর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল গতকাল। শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন-মরক্কো আর পর্তুগাল-ইরান। প্রথম দুটি ম্যাচে হেরে যাওয়ার কারণে মরক্কোর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে বহু আগেই, তাই গতকালের ম্যাচে মরক্কোর হারানোর কিছু ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তারা কাল স্পেনের বিপক্ষে ভয়ডরহীনভাবেই খেলেছে। স্পেনকে প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিল তারা, দুবার এগিয়ে গিয়েও পরে ইয়াগো আসপাসের শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করতে হয়েছে তাদের।

কিন্তু মরক্কোর মতো দলের সঙ্গে দুটো গোলই-বা কেন খেতে হলো স্পেনকে? প্রশ্ন উঠেছে স্পেনের ডিফেন্স নিয়ে। বিশেষত সার্জিও রামোস আর জেরার্ড পিকের সেন্ট্রাল ডিফেন্সের জুটি নিয়ে। তাঁদের বেশ কিছু কাজে কাল স্পেনকে ভুগতে হয়েছে বেশ।

প্রথম গোলটার কথাই চিন্তা করুন, হাইলাইন বা একটু ওপরে খেলতে গিয়ে মাঝমাঠ থেকে মরক্কোর স্ট্রাইকার খালিদ বুতাইবের কাছে যেভাবে বল হারালেন, সেটা কি রামোসের মতো ডিফেন্ডারের মানায়? প্রথম ম্যাচেও দ্বিতীয় গোলটার সময় এভাবে ডি-বক্সের মধ্যে গা ছাড়া ভাবে খেলতে গিয়ে রোনালদোকে একবার ট্যাকল করার চেষ্টাও করেননি, আর কাল তো বলই হারিয়েই ফেললেন! দেখে নিন গোলটা—

রামোস বা পিকে—দুজনেরই অবস্থা একই। ঠিকমতো ট্যাকল কেউই করতে পারেননি তাঁরা কাল। রামোস তা–ও যতগুলো ট্যাকল করতে চেয়েছিলেন, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ সফল ট্যাকল করতে পেরেছেন। ওদিকে পিকের অবস্থা আরও খারাপ, একটাও সফল ট্যাকল করতে পারেননি তিনি। জেরার্ড পিকে সফলভাবে দুবার প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিতে সক্ষম হলেও রামোস একটিবারের জন্যও পারেননি। মরক্কোর স্ট্রাইকার বুতাইবকে দুই পা দিয়ে একটা জঘন্য ট্যাকল করেছেন পিকে, যার জন্য লাল কার্ড পেলেও পেতে পারতেন তিনি!

মাঠের বাঁ দিকটা কাল একসঙ্গে সামলেছেন ইসকো, ইনিয়েস্তা আর আলবা। ডান দিকের দায়িত্বে ছিলেন ডেভিড সিলভা, কারভাহাল ও থিয়াগো আলকানতারা। ফলে, স্ট্রাইকার ডিয়েগো কস্তার যথেষ্ট সুযোগ ছিল ডি-বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত খেলার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গতকালের মরক্কোর ডিফেন্স ডিয়েগো কস্তাকে বেশ ভালোভাবেই আটকে রাখতে পেরেছে। একটা শটও গোল বরাবর নিতে পারেননি তিনি। পুরোটা সময় কস্তা মাঠের মধ্যে কী করেছেন, আদৌ ডি-বক্সে কোনো প্রভাব বিস্তার করে খেলতে পেরেছেন কি না, তা দেখতে পারবেন তাঁর হিটম্যাপ থেকেই

একনজরে দুই দলের পরিসংখ্যান দেখে নিন—

দুই ডিফেন্ডারের যে পারফরম্যান্স, তাতে স্পেন কোচ ফার্নান্দো হিয়েরোর কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। পরবর্তী ম্যাচ থেকে কি আরেকটু পরিবর্তিত স্পেনকে দেখা যাবে? উত্তরটা শুধু হিয়েরোর কাছেই আছে!