৩০০ মিলিয়ন ডলার ম্যান ফেদেরার

গায়ে ইউনিক্লো থাকলেও পায়ে ছিল নাইকি। ছবি: রয়টার্স
গায়ে ইউনিক্লো থাকলেও পায়ে ছিল নাইকি। ছবি: রয়টার্স

সবুজ মাঠটা একটু বেশিই প্রিয় রজার ফেদেরারের। আর সেটা যদি দ্য চ্যাম্পিয়নশিপ উইম্বলডনের মাঠ হয়, তবে তো কথাই নেই। উইম্বলডনের প্রথম দিনেই জয় তুলে নিয়েছেন সরাসরি সেটে। ৬-১, ৬-৩, ৬-৪ গেমে দুসান লাজভিচকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পথ সুগম করেছেন ফেদেরার। কিন্তু তা ছাপিয়ে গেছে আরেকটি ঘটনা।

মাঠে ঢুকতেই চোখে পড়ে, প্রতিবারের মতো এবার ফেদেরারের জামায় বিখ্যাত ‘আরএফ’ লোগোটা নেই। আরও ভালোভাবে দেখতেই টের পাওয়া গেছে, নেই নাইকির লোগোটাও। শোরগোল শোনা গিয়েছিল আগেই। গত মার্চেই নাইকির সঙ্গে প্রায় ১৫ বছরের চুক্তি শেষ হয়েছিল ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী রজার ফেদেরারের। তারপরও নাইকির জার্সিতে খেলছিলেন ফেদেরার। মাঝে কথা চলছিল দুই পক্ষের মাঝে নতুন চুক্তির। কিন্তু দুই পক্ষের বনিবনা হচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত নাইকিকে ছাড়াই উইম্বলডনের মাঠে নামেন রজার ফেদেরার। তাঁর গায়ে থাকা নতুন শার্টের স্পনসর জাপানিজ রিটেইলার কোম্পানি ইউনিক্লো। কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, ফেদেরারের জার্সিতে আগামী ১০ বছরের জন্য ইউনিক্লো থাকতে যাচ্ছে। ৩৬ বছর বয়সী রজার ফেদেরারের অবসরের পরে প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থাকবেন রজার ফেদেরার। তবে চুক্তির অঙ্কটা শুনলে ভিরমি খেতেই হবে। ১০ বছরের জন্য সুইস কিংবদন্তিকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউনিক্লো।

তবে ফেদেরারের ‘আরএফ’ লোগোটা নাইকিরই আছে। সেটা পেতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে রজারকে কিনতে হবে সেই লোগো। নিজের লোগো কাছে পাওয়ার আশা এখনো আছে রজারের, ‘হ্যাঁ, আরএফ লোগোটা এখন নাইকির কাছেই আছে বটে। কিন্তু আশা করব, তারা সেটি আমাকে দেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুত করবে।’ গায়ে ইউনিক্লো থাকলেও নাইকির জুতা পরেই মাঠে নেমেছিলেন ফেদেরার।

২০০৩ সালের উইম্বলডনে প্রথম নাইকির লোগো ব্যবহার করেন রজার ফেদেরার। সেবারই প্রথম উঁচিয়ে ধরেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। সেই উইম্বলডনেই সম্পর্ক ছিন্ন হলো। ক্যারিয়ারের সব গ্র্যান্ড স্লামই নাইকির হাত ধরেই এসেছে। নতুন স্পনসরের সঙ্গে ফেদেরারের জুটি কেমন করে, এ নিয়ে সবার আগ্রহ থাকছে।