বিশ্বকাপের জন্য এমন ত্যাগ!

সন্তান জন্মের সময়ে স্ত্রীর শয্যাপাশে থাকতে পারবেন না গ্রাঙ্কভিস্ত
সন্তান জন্মের সময়ে স্ত্রীর শয্যাপাশে থাকতে পারবেন না গ্রাঙ্কভিস্ত
>১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইডেন। কিন্তু এমন একটা উপলক্ষে দারুণ দোটানায় সুইডিশ অধিনায়ক আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত। তাঁর স্ত্রী যে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন এ সপ্তাহেই

প্রত্যেক ফুটবলারেরই জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপে খেলার। সুইডেনের অধিনায়ক আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্তেরও নিশ্চয়ই তাই। তাঁর স্বপ্নপূরণের বিশ্বকাপে সুইডেন দীর্ঘ ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু এমন মহারণের সময়ই তাঁর স্ত্রী জন্ম দিচ্ছেন দ্বিতীয় সন্তানের। তবে দেশের জন্য সন্তান জন্মের মাহেন্দ্রক্ষণটা মিসই করতে যাচ্ছেন গ্রাঙ্কভিস্ত।

হাজার মাইল দূরে সুইডেনে নিজেদের বাড়িতে এখন দ্বিতীয় সন্তান আসার ক্ষণ গুনছেন গ্রাঙ্কভিস্তের স্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবারই গ্রাঙ্কভিস্তের দ্বিতীয় সন্তানের প্রথমবারের মতো পৃথিবীর আলো দেখার কথা। একজন আদর্শ স্বামী হিসেবে অবশ্যই তাঁর উচিত ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ত্রীর শয্যার পাশে থাকা।

কিন্তু একজন বাবা হওয়ার পাশাপাশি গ্রাঙ্কভিস্ত তো একজন ফুটবলারও! আর একজন ফুটবলারের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা পূরণ করতেই তিনি গিয়েছেন রাশিয়ায়! সুইডেনের অধিনায়ক হিসেবেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। এই স্বপ্ন পূরণ না করে, কোয়ার্টার ফাইনালের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে অভিভাবকশূন্য করে কীভাবে নিজের স্বার্থের জন্য দেশে ফিরতে পারেন তিনি?

তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময়টায় পরিবারের সঙ্গে থাকবেন না তিনি, সে সময়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নেতৃত্ব দেবেন! দেশের জন্য এই আত্মত্যাগ কজনই-বা করে!

তবে একেবারেই যে এই কঠিন সময়ে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকেননি, সেটাও নয়। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের আগে চট করে এই শনিবার সুইডেন ঘুরে এসেছেন গ্রাঙ্কভিস্ত, শয্যাশায়ী স্ত্রীকে জুগিয়ে এসেছেন সাহস!

গতকাল সুইডেন বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচের দিনেই গ্রাঙ্কভিস্ত ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়ার দ্বিতীয়বারের মতো বাবা-মা হওয়ার কথা। কালকের ম্যাচেই সুইসদের ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে সুইডিশরা। গ্রাঙ্কভিস্তের সন্তান তাহলে পুরো সুইডিশ দলের জন্য সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে!