মেসির জন্য অপেক্ষা করছে আরও একটি দুঃসংবাদ!

বিশ্বকাপে তিন গোল
বিশ্বকাপে তিন গোল
>বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল পাওয়া প্রথম ডিফেন্ডার ইয়েরি মিনা। পেনাল্টি ছাড়া এক বিশ্বকাপে ৩ গোল করা প্রথম ডিফেন্ডারও তিনি। এ ছাড়া এক বিশ্বকাপে হেড দিয়ে ৩ গোল করা দ্বিতীয় খেলোয়াড়। শুধু কি তাই? বিশ্বকাপে কলম্বিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৬ গোল নিয়ে ওপরে শুধু হামেস রদ্রিগেজ

লিভারপুল ও আর্সেনালের চোখ পড়েছে বার্সেলোনার ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা’র দিকে! যুক্তরাজ্যের দৈনিক ডেইলি মিরর কাল জানিয়েছে, বার্সার ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা’কে দলে টানার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ইংলিশ ক্লাব দুটি। বিশ্বকাপের পরেই সম্ভবত সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

যদি লিওনেল মেসির কথা ভেবে থাকেন, তাহলে ভুল করেছেন। শুধু মেসি কেন, বার্সার ফরোয়ার্ড কিংবা মাঝমাঠেরও কেউ নন এই সর্বোচ্চ গোলদাতা। রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত বার্সেলোনার কোনো ফরোয়ার্ড বা মিডফিল্ডার যে ২ গোলের বেশি করতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপে বিভিন্ন দেশের হয়ে খেলা বার্সেলোনার ১৪ ফুটবলারের মধ্য সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন এক ডিফেন্ডার। তাঁর নাম ইয়েরি মিনা।

কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার টানা তিন ম্যাচে গোল পেয়েছেন, প্রতি ম্যাচেই একটি করে। তাতে রেকর্ড বইয়ের কিছু পাতায় নামও উঠে গেছে ২৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের। মিনার আগে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল পাননি অন্য কোনো ডিফেন্ডার। পোল্যান্ড, সেনেগাল ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি গোলই আবার মাথা দিয়ে করেছেন মিনা। ১৯৬২ সালের পর এক বিশ্বকাপে কোনো ডিফেন্ডার হেড দিয়ে এই প্রথম ৩ গোল পেলেন। এক বিশ্বকাপে কোনো পেনাল্টি ছাড়া ৩ গোল দেওয়া প্রথম ডিফেন্ডারও তিনি। জার্মানির দুই ডিফেন্ডার পল ব্রাইটনার (১৯৭৪) ও আন্দ্রেস ব্রেমাও (১৯৯০) এক বিশ্বকাপে ৩ গোল করেছিলেন, তবে ব্রেমার ২টি ও ব্রাইটনারের একটি গোল ছিল পেনাল্টি থেকে।

রেকর্ডে অবশ্য আর যোগ করার সুযোগ নেই মিনার। পরশু ইংল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যে বিদায় নিয়েছে কলম্বিয়া। তবে ম্যাচটি টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদানও মিনারই। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ে তাঁর গোলেই সমতা আসে ম্যাচে। ম্যাচের পরে মিনাকে কথা বলতে হলো বার্সেলোনায় নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও।

মাত্রই গত জানুয়ারিতে দলবদলের শীতকালীন পর্বে ব্রাজিলের পালমেইরাস ছেড়ে বার্সায় এসেছেন। বার্সার জার্সিতে পাঁচ মাসে খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, ন্যু ক্যাম্পে সময়টা ভালো কাটেনি তাঁর। বার্সেলোনাও নাকি একরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে মিনাকে ছেড়ে দেওয়ার। ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে বিশ্বকাপে কী দারুণই না খেললেন মিনা! এটা কি বার্সাকে দেখিয়ে দেওয়া নয়? মিনা অবশ্য এভাবে ভাবছেন না, ‘আমার কারও কাছে কিছু প্রমাণের নেই। সৃষ্টিকর্তা আমাকে প্রতিভা দিয়েছেন। আমার যা দরকার, তা হলো নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ফুটবলকে উপভোগ করা। আমার ভবিষ্যৎ? আমি সব সময় নির্ভার থাকি এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস করি।’

বিশ্বকাপ থেকে কলম্বিয়ার ছুটি হয়ে যাওয়ায় আপাতত কিছুদিন আরও নির্ভার সময় কাটাবেন মিনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো হাতে আছেই।