বেলজিয়াম-ফ্রান্স: লড়াইয়ের ভেতর থাকছে যে লড়াই

>বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বেলজিয়াম-ফ্রান্স মুখোমুখি হবে আজ রাতে। লড়াইটা ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনেরই। দল হয়েই খেলবে এই দুই দল। তবে এর মধ্যেও একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিশেষ কিছু লড়াই তো থাকেই
হুগো লরিস-থিবো কোর্তোয়া
হুগো লরিস-থিবো কোর্তোয়া

হুগো লরিস-থিবো কোর্তোয়া
উরুগুয়ের মার্টিন কাসেরেসের হেডে লরিসের সেভ কিংবা ব্রাজিলের বিপক্ষে একেবারে শেষ মুহূর্তে কোর্তোয়া যেভাবে ঠেকিয়েছেন নেইমারের শট...চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। তবে লরিসের চেয়ে উচ্চতায়
ইঞ্চি ছয়েক লম্বা কোর্তোয়া এগিয়ে আছেন প্রায় সব পরিসংখ্যানেই। ৪ ম্যাচে লরিস শট ঠেকিয়েছেন ৮টি, এক ম্যাচ বেশি খেলে কোর্তোয়া ১৮টির মধ্যে শুধু ব্রাজিলের বিপক্ষেই ৯টি! শট ঠেকানোর হার লরিসের ৬৬.৭ শতাংশ, কোর্তোয়ার ৭৮.৩।

স্যামুয়েল উমতিতি-ভিনসেন্ট কম্পানি
স্যামুয়েল উমতিতি-ভিনসেন্ট কম্পানি

স্যামুয়েল উমতিতি-ভিনসেন্ট কম্পানি
৩২ বছর বয়সী কম্পানি অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে, তবে বয়স কম হওয়ার সুবিধাটা দৌড়েই তুলে নিচ্ছেন উমতিতি। কম্পানির চেয়ে ৯ বছরের ছোট ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ম্যাচপ্রতি গড়ে দৌড়েছেন ২ কিলোমিটার বেশি (৯ কিলোমিটার) ! বল কেড়ে নেওয়ায়ও কম্পানির (১২ বার) চেয়ে এগিয়ে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার (২১)। তবে দল কর্নার পেলে প্রতিপক্ষ বক্সে কম্পানিই বেশি ভয়ংকর, অন্তত ব্রাজিল তা মানবে।

এনগোলো কান্তে-মারুয়ানে ফেলাইনি
এনগোলো কান্তে-মারুয়ানে ফেলাইনি

এনগোলো কান্তে-মারুয়ানে ফেলাইনি
কান্তে যতই বলুন, অন্য সবার মতো তাঁরও দুটিই ফুসফুস, পরিসংখ্যান তাতে একমত হতে দিচ্ছে না। পাঁচ ম্যাচে ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার দৌড়েছেন ৫১ কিলোমিটারের বেশি! প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন ৫২ বার। ৯০ শতাংশ সময় তাঁর পাস খুঁজেও পেয়েছে সতীর্থকে। তুলনায় মাত্র দুই ম্যাচে শুরুর একাদশে নামা ফেলাইনি স্বাভাবিকভাবেই সব পরিসংখ্যানে পিছিয়ে। তবে ৬ ফুট ৬ ইঞ্চির এই মিডফিল্ডার হেডে অনেক শক্তিশালী, জাপানের বিপক্ষে একটা গোলও আছে।

পল পগবা-কেভিন ডি ব্রুইনা
পল পগবা-কেভিন ডি ব্রুইনা

পল পগবা-কেভিন ডি ব্রুইনা
চার ম্যাচ খেলেছেন, তার প্রথম তিনটিতে ডি ব্রুইনা ছিলেন মিডফিল্ডে, প্রতিপক্ষ পোস্ট থেকে অনেক দূরে। তাতে বলার মতো অবদান? একটা গোলে সহায়তা। কিন্তু ব্রাজিলের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ওপরে খেলার সুযোগ পেয়েই গোল বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের। পগবার গোল বা গোলে সহায়তা নেই। তবে এবার ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার দেখা দিয়েছেন ‘অলরাউন্ডার’ হিসেবে। ৯৩ শতাংশ সফল পাস (ডি ব্রুইনার ৮১)। ট্যাকল, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়া...সবই ডি ব্রুইনার চেয়ে বেশি।

কিলিয়ান এমবাপ্পে-এডেন হ্যাজার্ড
কিলিয়ান এমবাপ্পে-এডেন হ্যাজার্ড

কিলিয়ান এমবাপ্পে-এডেন হ্যাজার্ড
বেলজিয়ামের ‘নাম্বার টেন’ আক্রমণে সুতাটা ধরে রাখবেন, আর ফ্রান্সের ‘নাম্বার টেন’ হয়তো তুলবেন গতির ঝড়। এমবাপ্পের ৩ গোল বলবে তাঁর স্কোরিং দক্ষতার কথা। ওদিকে হ্যাজার্ডের দুই গোল করা আর আরও দুটি করানো বলবে, কতটা দারুণ ছন্দে আছেন বেলজিয়ান প্লে–মেকার। তবে মজার ব্যাপার, গোল কম হলেও প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে হ্যাজার্ড শট নিয়েছেন এমবাপ্পের (৬টি) চেয়ে ৭টি বেশি!

আঁতোয়ান গ্রিজমান-রোমেলু লুকাকু
আঁতোয়ান গ্রিজমান-রোমেলু লুকাকু

আঁতোয়ান গ্রিজমান-রোমেলু লুকাকু
লুকাকু বেলজিয়ামের মূল স্ট্রাইকার, গ্রিজমান খেলেন মূল স্ট্রাইকারের পেছনে। তবে গোলের প্রশ্নে বেলজিয়ামের জন্য লুকাকু যা, ফ্রান্সের জন্য গ্রিজমানও তা-ই। লুকাকুর ৪ গোল, গ্রিজমানের গোল এমবাপ্পের সমান ৩টি (দুটিই অবশ্য পেনাল্টি থেকে)। তবে আক্রমণ গড়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই গ্রিজমানই এগিয়ে। তাঁর সফল পাস যেখানে ১২৭টি, লুকাকুর তা মাত্র ৪৮টি।