ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে টপকেই খুশি সুয়ারেজ

সুয়ারেজ-গডিনে ভর করেই বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করেছিল উরুগুয়ে। ছবি: রয়টার্স
সুয়ারেজ-গডিনে ভর করেই বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করেছিল উরুগুয়ে। ছবি: রয়টার্স

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ব্রাজিলের হারের পর বিশ্বকাপ পরিণত হয়েছে অল ইউরোপিয়ান কাপে। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ চার আবার রূপ নিয়েছে ‘ইউরো’তে

২০০৬ সালে শেষবারের মতো এমন কিছু দেখা যাবে। টানা চারটি বিশ্বকাপ যাচ্ছে ইউরোপে। লাতিন ফুটবলের জন্য অশনিসংকেতই বটে। তবে লুইস সুয়ারেজ এ নিয়ে ভাবছেন না। বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ওপরে থাকতে পেরেই খুশি উরুগুয়ের মূল তারকা।

দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মাত্র পাঁচটি দলের সুযোগ থাকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার। সেখান থেকে শেষ আটে উঠতে পেরেছিল উরুগুয়ে আর ব্রাজিল। কিন্তু দুটি দলকেই বিদায় নিতে হয়েছে শেষ আট থেকে। বিশ্বকাপে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছে উরুগুয়ে। এই অর্জন নিয়েই তারা খুশি। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের মতে, ‘আমরা ৩২ দলের একজন হিসেবে এসেছি এবং পঞ্চম হিসেবে ফেরত যাচ্ছি। এই অর্জনকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমরা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সেরা দল।’

অধিনায়ক দিয়েগো গডিনও নিজেদের সাফল্যে খুশি, ‘আমাদের হয়তো সেমিতে পৌঁছানো দরকার ছিল। কিন্তু আমরা ভালো খেলেছি। বিশ্বকাপে পঞ্চম হয়ে শেষ করা কম কথা নয়। আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড় ছিল, তা হয়তো পারিনি। তবে যা করেছি, তা কোনো অংশেই কম নয়।’

দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পেরু বাদ পড়েছে প্রথম পর্বেই। দ্বিতীয় পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারতে হয় কলম্বিয়াকে। ফ্রান্সের কাছ থেকে হেরে বিদায় নিয়েছে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালে টিকে থাকে ব্রাজিল ও উরুগুয়ে। ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে উরুগুয়ে, আর ব্রাজিলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়েছে বেলজিয়াম (২-১)।