পিকেকে অবসর নিতে বলা হচ্ছে!

স্পেনের জার্সিতে এটাই কি শেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে পিকের? ছবি: রয়টার্স
স্পেনের জার্সিতে এটাই কি শেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে পিকের? ছবি: রয়টার্স
>স্পেনের হয়ে আর খেলবেন না পিকে? বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর নতুন করে দল সাজাবে স্পেন। সেই দলে হয়তো আর সুযোগ মিলবে না পিকের।

জেরার্ড পিকে এখন হয়তো ভাবতে পারেন, কেন যে তখন ওই কথাটা বলতে গেলাম!

একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ২০১৬ ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে আসে স্পেন। কিন্তু ইতালির সঙ্গে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় লা রোহারা। দুই বছর আগে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের স্মৃতি তো ছিলই। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থায় পড়ে যায় স্পেনের ফুটবল। সেন্টারব্যাক জেরার্ড পিকের দিকে তোলা হয় অনেক অভিযোগের তির। অনেকেই তো পিকেকে অবসর নিতেও বলেছিলেন। পিকে বিরক্ত হয়ে তখন বলেছিলেন, ‘২০১৮ বিশ্বকাপই হবে আমার স্পেনের জার্সিতে শেষ খেলা।’

দুই বছর আগে হলেও কথাটি স্বাভাবিকভাবে স্পেনের মানুষের মনে থাকারই কথা। আরও একবার যখন বিশ্বকাপ থেকে হতাশা উপহার পেয়েছে স্পেন, বিদায় নিয়েছে দ্বিতীয় পর্ব থেকে। পরবর্তী ইউরো ও বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে নতুন করে দল সাজাতে যাচ্ছে স্পেন। লুইস এনরিকেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্পেনের। নবযাত্রায় পিকেকে চাচ্ছে না স্পেনের অনেকেই। স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কায় তো রীতিমতো কলামই লিখেছেন হুয়ানমা রদ্রিগেজ, ‘নিজের কথা রেখে বিদায় হও পিকে।’

স্প্যানিশ ফুটবল হঠাৎ করেই একটা ধাক্কা খেয়েছে। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠে গেছে দলটির খেলার ধরন নিয়ে। টিকিটাকা ফুটবলের দিন শেষ কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছে। বিশ্বকাপের মাত্র দুদিন আগে হুলেন লোপেতেগির চাকরিচ্যুতিই স্পেনের ফুটবলে এমন দাগ ফেলে দিয়েছে। তখন সব সামলে নেব এমন ভাব দেখানো সার্জিও রামোসও স্বীকার করেছিলেন, অস্থিরতা কখনোই দলের জন্য ভালো নয়।

হুয়ানমার দাবি, রামোসের এ কথাটা দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন কাতালোনিয়ার ধ্বজাধারী পিকে দলে থাকা মানেই অস্থিরতা। গ্যালারি থেকে দর্শকের দুয়োর আওয়াজও শোনা যায় পিকের কারণে। দর্শকের এমন আচরণ, পিকের যখন-তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলটপকা কথা বলায় নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেন না কেউ। কদিন আগে আঁতোয়ান গ্রিজমানের বার্সেলোনায় যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে বিতর্কও উসকে দিয়েছিলেন পিকে।

এই ডিফেন্ডারের বিতর্কের সঙ্গে এমন বসবাস কোনো দলের পুনর্গঠনের জন্যই ভালো নয় বলে দাবি হুয়ানমার। স্পেনের ভালোর জন্যই পিকেকে এখন সরে যেতে অনুরোধ করছেন এই সাংবাদিক।