দুই সপ্তাহের বেশি নিজে না খেয়ে ছাত্রদের খাইয়েছেন

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়ার আগে ছাত্রদের সঙ্গে এক্কাপোল জানথাওং। সংগৃহীত ছবি
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়ার আগে ছাত্রদের সঙ্গে এক্কাপোল জানথাওং। সংগৃহীত ছবি

অবশেষে উদ্ধার হয়েছে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া ১২ খুদে ফুটবলার ও কোচ। সবাইকে সুস্থ ফিরে পাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কোচ এক্কাপোল জানথাওংয়ের

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া খুদে ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করায় শেষ হলো ১৭ দিনের উৎকণ্ঠা। সবাইকে সুস্থভাবে ফিরে পাওয়ায় পুরো বিশ্বে নেমে এসেছে স্বস্তি। নতুন জীবন ফিরে পাওয়ায় সবাই তাদের স্বাগত জানাচ্ছে আর উদ্ধারকর্মীদের দিচ্ছে বাহবা। তবে সব খুদে ফুটবলারকে সুস্থভাবে ফিরে পাওয়ার পেছনে একজনের নাম বিশেষভাবেই বলতে হবে, দলটির সহকারী কোচ এক্কাপোল জানথাওং।

২৩ জুন থেকে ১০ জুলাই; ১৭ দিন। ঘুটঘুটে অন্ধকারে চরম বিপদের মধ্যে লম্বা এই সময়ে খুদে ফুটবলারদের আগলে রেখেছিলেন কোচ জানথাওং। গত দুই দিনে আটজন উদ্ধার হওয়ার পর বাকি চার ফুটবলারের সঙ্গে আজ উদ্ধার হয়েছেন তিনিও। এর পর থেকেই বের হয়ে আসছে গুহার মধ্যকার শ্বাসরুদ্ধকর সব গল্প। সেখানে নাকি কোচ নিজে না খেয়ে খাবার তুলে দিয়েছেন শিষ্যদের মুখে। তাই ২৫ বছর বয়সী কোচের প্রশংসা সবার মুখে মুখে।

গতকালই উদ্ধার পেয়েছে আট ফুটবলার। গুহার মধ্যে তাদের সুস্থ অবস্থাতেই পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে উদ্ধারকর্মীরা জানতে পারেন, গুহায় আটকা পড়লেও পেটে দানা পানি পড়েছে। কোচ নিজে না খেয়ে সব ছাত্রদের খাইয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মী দলের নেতা।

গুহায় আটকা পড়া দলটির নাম মু পা। যেদিন গুহায় আটকা পড়েছিল দলটি, সেদিনই দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জানথাওং। কিন্তু দলকে অনুশীলন করাতে নিয়ে গিয়ে প্রথম দিনেই পড়ে গেলেন জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদে। ১৭ দিনের এক ভয়ংকর যুদ্ধ জয় করে বিপদমুক্ত হলো তারা।