একুশের অপেক্ষা বাড়ল ফেদেরারের
ম্যাচের শেষ এক ঘণ্টা স্নায়ুর পরীক্ষা দিলেন দুজন। এক একজন সার্ভিস নিচ্ছেন, তিনিই গেম জিতছেন। প্রথমে এগোচ্ছেন ফেদেরার, পরের গেমেই সমতা টানছেন অ্যান্ডারসন। ১-১, ২-২ হলো, হলো ৩-৩। হতে হতে সেটা গেল ১১-১১! ম্যাচের বয়স ততক্ষণে ৪ ঘণ্টা। ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর কার আগে ভাঙে, সেই অপেক্ষাতেই সবাই।
ভাঙলেন রজার ফেদেরারই। প্রথমবারের মতো হলো ডাবল ফল্ট, তাঁর সার্ভিস ব্রেক করে এগিয়ে গেলেন কেভিন অ্যান্ডারসন। নিজের সার্ভিসটাও ধরে রাখলেন। ব্যস, ১৩-১১ গেমে শেষ সেট জিতে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই টেনিস তারকা। ফেদেরারকে ২-৬, ৭-৬ (৫/৭), ৭-৫, ৬-৪, ১৩-১১ গেমে হারিয়ে জন্ম দিলেন উইম্বলডনের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটনের।
৩২ বছর বয়সে এসে এবারই প্রথম উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছেন অ্যান্ডারসন। এর আগে গত ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলাই তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য। আর উল্টো দিকে টেনিসের পুরুষ এককের শেষ কথা ফেদেরার। ২০টি গ্র্যান্ড স্লামের ৮টিই যার অল ইংল্যান্ড ক্লাবে। যাঁর প্রতিটি শটে মুগ্ধতা মাখানো হাততালি দিতে মুখিয়ে থাকেন উইম্বলডনের গ্যালারিতে থাকা সব দর্শক। এ ম্যাচে তো ফেদেরারই পরিষ্কার ফেবারিট!
প্রথম দুই সেটই ফেদেরার জিতে যাওয়ার পর তাই হাল ছেড়ে দিলেও অ্যান্ডারসনের দোষ খুঁজতেন না কেউ। কিন্তু অ্যান্ডারসন আজ যেন অঘটন ঘটাতেই নেমেছিলেন। তৃতীয় সেট জিততে একটু কষ্ট করতে হয়েছিল, চতুর্থ সেটে জয় এসেছে আরও সহজে। এরপর তো শেষ সেটের সেই মহাকাব্য।
ফেদেরারের বিদায়ের দিনে সেমিফাইনালে উঠে গেছেন নোভাক জোকোভিচ। কেই নিশিকোরিকে ৬-৩, ৩-৬, ৬-২, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন ১২টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সার্বিয়ান।