দল ফাইনালে ওঠায় কপাল চাপড়াচ্ছেন যে ক্রোয়েশিয়ান!

ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচ। ছবি: রয়টার্স
ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচ। ছবি: রয়টার্স
>বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও ক্রোয়েশিয়া দলের সদস্য ছিলেন কালিনিচ। কিন্তু অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য তাঁকে চোটগ্রস্ত দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন কোচ দালিচ

কেন যে অমন কাজটা করতে গেলাম! এখন হয়তো এমন একটি ভাবনা কুরে কুরে খাচ্ছে ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচকে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। শিরোপার লড়াইয়ে দলের সঙ্গে মাঠে থেকে ইতিহাস হতে পারতেন কালিনিচও। কিন্তু ইতিহাস তো দূরের কথা, নিজের কৃতকর্মের জন্য এখন তিনি রাশিয়াতেই নেই।

নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২-০ গোলের জয় নিয়ে ম্যাচের শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু শেষ দিকে কালিনিচকে বদলি হিসেবে মাঠে নামাতে চেয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ দালিচ। এখানেই বাধে বিপত্তি।

কালিনিচ একাদশে খেলতে না পেরে বেঞ্চে বসে রীতিমতো ফুঁসছিলেন। কোচ বদলি হিসেবে মাঠে পাঠাতে চাইলে পিঠের চোটের অজুহাতে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু পরবর্তীকালে দলের মেডিকেল স্টাফরা তাঁর কোনো চোট খুঁজে পাননি। তাই কালিনিচের এমন অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ও স্পর্ধাকে প্রশ্রয় না দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শুধু বিশ্বকাপে নয়, এ রকম কাজ কালিনিচ আগেও করেছেন বলে জানান ক্রোয়েশিয়ান কোচ দালিচ, ‘একই ঘটনা সে ইংল্যান্ডে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের সময়ও ঘটিয়েছিল। এরপর অনুশীলনেও অংশ নেয়নি। আমি এগুলো শান্তভাবে মেনে নিয়েছি। কিন্তু যেহেতু আমি আমার দলে সব খেলোয়াড়কে সুস্থ অবস্থায় চাই এবং সে তা নয় (তার দাবি অনুযায়ী)। তাই আমি কালিনিচকে দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলাম।’

দল থেকে বাদ পড়ে স্বাভাবিকভাবে এর পর থেকেই ক্ষোভে পুড়ছিলেন এসি মিলানের এই স্ট্রাইকার। গতকাল ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে ওঠার পর সে জ্বালাটা আরও বেড়েছে নিশ্চিত! অমন কাজ না করলে বিশ্বকাপের ফাইনালে থাকতে পারতেন। হতে পারতেন ইতিহাসের অংশ।