বিশ্বকাপের ভাগ্য বদলে দেওয়া গোল নিয়ে অসন্তুষ্টি

এই সেই ‘ফাউল’, যেটা থেকে পাওয়া ফ্রি কিকেই গোল পেয়েছে ফ্রান্স। ছবি: রয়টার্স
এই সেই ‘ফাউল’, যেটা থেকে পাওয়া ফ্রি কিকেই গোল পেয়েছে ফ্রান্স। ছবি: রয়টার্স
>

স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানার। বিশ্বকাপ ফাইনালের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁর বাঁশিতেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে এমন মহাযজ্ঞের। কিন্তু সে সঙ্গে সমালোচনাও জুটেছে। কাল ফাইনালে ফ্রান্সের প্রথম গোলটা হয়েছে তাঁরই ভুল সিদ্ধান্তে। এ নিয়ে সাবেক খেলোয়াড়রা কেউই তাঁদের অসন্তুষ্টি লুকাননি।

স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানার। বিশ্বকাপ ফাইনালের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁর বাঁশিতেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে এমন মহাযজ্ঞের। কিন্তু সে সঙ্গে সমালোচনাও জুটেছে। কাল ফাইনালে ফ্রান্সের প্রথম গোলটা হয়েছে তাঁরই ভুল সিদ্ধান্তে। এ নিয়ে সাবেক খেলোয়াড়রা কেউই তাঁদের অসন্তুষ্টি লুকাননি।

গতকাল ম্যাচের শুরু থেকে প্রাধান্য ছিল ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু ১৮ মিনিটে সব হিসাব বদলে যায়। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে ডি–বক্সের একটু বাইরে পড়ে যান আঁতোয়ান গ্রিজমান। ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান পিতানা। গ্রিজমানের ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বল আটকাতে গিয়ে উল্টো জালে জড়িয়ে দেন মারিও মানজুকিচ।

এ গোল নিয়েই সবার অসন্তুষ্টি। কারণ, রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে, গ্রিজমান ডাইভ দিয়েছেন, তাঁকে ফাউল করা হয়নি। কিন্তু যেহেতু এটি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নয় কিংবা লাল কার্ড দেখার মতো কোনো ঘটনা নয়, ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নেননি রেফারি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ইকার ক্যাসিয়াস, টুইটারে সরাসরিই বলেছেন, ‘সত্যি বলছি, আমি ভিএআরের ব্যবহার বুঝতে পারছি না। রেফারি গ্রিজমানের ওপর ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছে, যেটা ফাউলই ছিল না। ফ্রান্সের গোল এ ঘটনা থেকেই হয়েছে এবং এরপরও কিছু করা হলো না।’

উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ আরও একটি ভুল তুলে ধরেছেন। গ্রিজমানের ফ্রি কিক থেকে মানজুকিচ মাথা ছোঁয়ালেও অফসাইডে ছিলেন পল পগবা। ক্যাসিয়াসের টুইটের প্রতি উত্তরে বলেছেন, ‘ক্যাসিয়াস, তুমি ঠিক বলেছ। আর পগবা অফসাইডে ছিল এবং সে খেলার মধ্যেই ছিল।’

ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী রিভালদোও খেপেছেন পিতানার ওপর। ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, ‘ফ্রান্স এমন এক গোল দিয়ে এগিয়ে গেছে, যেটা দেওয়া উচিত হয়নি। কারণ, এটা ফাউল ছিল না, বিশ্বকাপের ফাইনালে রেফারির কাছ থেকে এমন ভুল আশা করা যায় না। আমার মতে, এটাই ক্রোয়েশিয়ার ক্ষতি করেছে।’