৫ লাখ মানুষ বরণ করল মদরিচ-রাকিতিচদের

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও উত্সব থেমে থাকেনি ক্রোয়েশিয়ার সমর্থক ও খেলোয়াড়দের। রয়টার্স।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও উত্সব থেমে থাকেনি ক্রোয়েশিয়ার সমর্থক ও খেলোয়াড়দের। রয়টার্স।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও জিততে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁদের। তবে বিশ্বকাপ না জিতলেও দেশে ফিরে কিন্তু বীরের মতোই সম্মান পেয়েছেন মদরিচ-রাকিতিচরা।


স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার বয়স খুব বেশি নয়। ২৭ বছর আগে ১৯৯১ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে বেরিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল দেশটি। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার সাত বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই সেমিতে পৌঁছেছিল তারা। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের দুর্দান্ত সেই কীর্তিকেও এবার ছাড়িয়ে গেছেন লুকা মদরিচ, ইভান রাকিতিচরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নটা বড় করে দেখলেও ফাইনালে এবার ফ্রান্সের কাছে হেরে যেতে হয়েছে তাদের। কিন্তু তাই বলে ক্রোয়াটরা কিন্তু মুখ ভার করে নেই। দেশে ফেরার পর নিজেদের ফুটবল-বীরদের বিপুলভাবে সংবর্ধিত করেছে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ। দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৪৫ লাখ। কিন্তু গতকাল জাগরেবের বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল ৫ লাখ মানুষ।

রাজধানী জাগরেব পরিণত হয়েছিল উত্সবের নগরীতে। ছাদখোলা বাসে জার্সি পরা খেলোয়াড়েরাও শামিল হয়েছিলেন সেই উত্সবে। যথারীতি নেতৃত্বে ছিলেন দলনেতা ও রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পাওয়া মদরিচ। মোটকথা নিজেদের ইতিহাসের সেরা উৎসবটাই কাল করেছে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ।
মদরিচদের এই বীরের সম্মান ক্রোয়েশিয়ায় ফুটবলকে ভিন্নমাত্রাই দিয়েছে। কে জানে, সেদিন বুঝি আর খুব দূরে নেই যেদিন বিশ্বজয়ের উৎসবেই মাতবেন ক্রোয়েশিয়ার মানুষ।