বিশ্বকাপের সেরা দলে নেইমার?

গতকাল প্রকাশিত সেই দল, যেটা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গতকাল প্রকাশিত সেই দল, যেটা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এবার বিশ্বকাপটা কেমন কেটেছে নেইমারের? এর উত্তর বিভিন্ন হতে পারে। ২টি গোল করেছেন, একটি বানিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বকাপ সর্বোচ্চ ২৭টি শট নিয়েছেন। নিরপেক্ষ দর্শকের বিরক্তি জাগিয়েছেন বারবার ডাইভ ও নাটুকেপনা দিয়ে। তাই নেইমার কেমন করেছেন—এর একটি উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে নেইমার সুযোগ পাবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে সবার জবাব জানাই ছিল, না!

গতকাল তাই বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ফাঁস যাওয়ার খবরে সংবাদমাধ্যম উত্তপ্ত হয়ে উঠল। না ফাঁস হয়েছে, এ তথ্যে নয়। সংবাদমাধ্যমের জন্য এসব তথ্য ফাঁস হলেই বরং ভালো। এলাকা উত্তপ্ত করেছে সে দলে থাকা বিভিন্ন খেলোয়াড়ের নাম। ফরোয়ার্ড হিসেবে এমবাপ্পের নাম নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। ছিল না ফরোয়ার্ড লাইনে থাকা গ্রিজমান ও হ্যাজার্ডকে নিয়েও। ঝামেলা পাকাল চতুর্থ ফরোয়ার্ড হিসেবে নেইমারের নাম থাকাটাই। এ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মানলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মারিও মানজুকিচ, আলেক্সান্দর গোলোভিনদের টপকে নেইমার কোনোভাবেই সেরা একাদশে আসতে পারেন না।

এ ধাক্কা সামলে মিডফিল্ডে তাকালে বিস্ময়টা রাগে রূপান্তরিত হতে বাধ্য। এবারের বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় লুকা মদরিচের মিডফিল্ড সঙ্গী হিসেবে নাকি থাকবেন পাওলিনহো! ব্রাজিলিয়ান এ মিডফিল্ডার তাঁর ওপর কোচের আস্থার কোনো প্রতিদানই দিতে পারেননি। এনগোলো কান্তে, ইভান রাকিতিচ ও পল পগবাদের টপকে কিনা পাওলিনহো মিডফিল্ডে!

রক্ষণেও অ্যাশলি ইয়াংয়ের নাম হাসির খোরাক তুলেছিল। তবে সবাইকে ক্ষুব্ধ করেছে গোলবারের নিচে থাকা নামটি। গোল্ডেন গ্লাভস জেতা থিবো কোর্তোয়া নন, রাখা হয়েছে হুগো লরিসকে!

ফিফার ওয়েবসাইটে ভক্তদের ভোটে নির্বাচিত দল। এ দল নিয়েও বিতর্ক আছে।
ফিফার ওয়েবসাইটে ভক্তদের ভোটে নির্বাচিত দল। এ দল নিয়েও বিতর্ক আছে।

এ দল নিয়ে সবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়ানোর আগেই জানা গেছে, এটি ভুয়া খবর। ফিফা এখনো তাদের বিশ্বকাপের সেরা দল বেছে নেয়নি। তবে ফিফার ওয়েবসাইট ভক্তদের প্রিয় দল প্রকাশ করেছে আজ। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যবহারকারী নিজেদের প্রিয় দল বেছে নিয়েছেন। সেখান থেকে শীর্ষ ১১ জন নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে বিশ্বকাপের সেরা দল।

এ দলেও বিতর্ক আছে। ভক্তদের ভোট বলেই হয়তো সিমে ভরসালিয়াকো কিংবা লুকাস হার্নান্দেজকে টপকে জায়গা মিলেছে মার্সেলোর। থিয়াগো সিলভাও লভরেন কিংবা উমতিতির আগে দলে সুযোগ পেতে পারেন না। মধ্যমাঠেও কান্তে, পগবাদের পরিবর্তে কুতিনহো-ডি ব্রুইনার অন্তর্ভুক্তি প্রশ্ন জাগাবেই।

আর ফরোয়ার্ড লাইন দেখে একগাল হেসে দিতেই পারেন ফুটবল দর্শকেরা। মদরিচের পেছনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা ফুটবলার হয়েছেন হ্যাজার্ড ও গ্রিজমান। এ দুজনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন রোনালদো ও হ্যারি কেইন!