জুনিয়রদের সমস্যাটা খুঁজে পাচ্ছেন না সাকিব

বাংলাদেশে ভালো যা খেলার এখনো সিনিয়ররাই খেলছেন। তরুণ ক্রিকেটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না ধারাবাহিকভাবে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশে ভালো যা খেলার এখনো সিনিয়ররাই খেলছেন। তরুণ ক্রিকেটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন না ধারাবাহিকভাবে। ফাইল ছবি
>

টেস্ট সিরিজে শোচনীয় ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ যে ওয়ানডেতে দারুণ সাফল্য পেল, সেখানেও তরুণেরা আলাদা করে আলো ছড়াতে পারেনি। তবে সাকিব আল হাসান দলের জুনিয়রদের আড়াল করছেন। বলছেন, সিনিয়ররা ভালো খেলেছে বলেই তো জুনিয়ররা যথেষ্ট সুযোগ পায়নি

এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই নতুন তারুণ্যের গান শুনিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা আগমনবার্তা দিয়েছিলেন পুরো বিশ্বকে। ১০-১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলে যাচ্ছেন তাঁরা। এখন যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরেকটি পালাবদল আসন্ন, সে সময় কোথায় সেই নতুন তারুণ্য? সৌম্য-সাব্বিররা আশা জাগিয়ে এখন নিজেরাই হতাশার চক্করে। বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমানও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।

টেস্ট সিরিজে শোচনীয় ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ যে ওয়ানডেতে দারুণ সাফল্য পেল, সেখানেও তরুণেরা আলাদা করে আলো ছড়াতে পারেনি। তবে সাকিব আল হাসান দলের জুনিয়রদের আড়াল করছেন। বলছেন, সিনিয়ররা ভালো খেলেছে বলেই তো জুনিয়ররা যথেষ্ট সুযোগ পায়নি। টেস্টের পর আবার টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসা সাকিব বলেছেন, ‌‘সফরটা এখন পর্যন্ত ওদের ভালো যাইনি, সেটা বলব না। ওদের সুযোগও তেমন আসেনি। যতটুকু সুযোগ এসেছিল, তারা সেটি নিতে পারেনি। ছোট ছোট কিছু সুযোগে এসেছিল বলে সেটির ওপর ভিত্তি করে তাদের দোষ দেওয়াটা মনে করি না ঠিক বিষয়।’

ওয়ানডে সিরিজেই প্রশ্ন উঠেছিল, বাংলাদেশ সিনিয়র-নির্ভর একটা দল কি না। ঘুরেফিরে সেই পঞ্চপাণ্ডবই পারফর্ম করছেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৭৮ ম্যাচের ২৪টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৮টিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম (সাতবার), সাকিব (ছয়বার), মাহমুদউল্লাহ (দুবার), মুশফিক (দুবার) ও মাশরাফি (একবার)। ৭৫ শতাংশ ম্যাচসেরাই দলের অগ্রজ খেলোয়াড়েরা।

জেতা ম্যাচে যে আটটি সেঞ্চুরি হয়েছে এর পাঁচটিই তামিমের। দুটি করেছেন সাকিব, বাকিটা মাহমুদউল্লাহ। এ সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ১৭৯৮৯ রান করেছেন। এর মধ্যে তামিম-সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মিলিত রান ৯৮৪৫; ৫৪ শতাংশ রান এসেছে তারকা চতুষ্টয়ের কাছ থেকে। বোলিংয়ে তরুণদের কিছু পারফরম্যান্স দেখা গেলেও সাকিবের ওপরে কেউ যেতে পারেননি। ৬৯ ম্যাচে ১১২ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সবার ওপরে।

তরুণদের হাল তো ধরতে হবে। ১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে সুযোগ সৌম্য-মোস্তাফিজদের ব্যাটে-বলে নিজেদের প্রমাণ করার। সাকিবও বলছেন, ‘হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি ওদের জন্য আরও বড় প্ল্যাটফর্ম। বড় বড় মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার এটাই উপায় হতে পারে। উপায় হতে পারে ছন্দে ফিরে পাওয়ারও। যারা টেস্টে বা ওয়ানডে দলে ছিল না, যারা নতুন এসেছে, তারা একটা পারফরম্যান্স যেন দেখাতে পারে, যেন ওয়ানডে দলে খেলার যোগ্যতা দেখাতে পারে, বা ভালো স্কিল থাকলে টেস্ট দলে যেন আসতে পারে। এমন কিছু আশা করি তারা করে দেখাবে। তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’