নাম একই, তাই পেলেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা!

ইউরোপিয়ান ট্যুরের ভুলে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড হারিয়ে ফেলেছিলেন ফ্লিটউড। ছবি: রয়টার্স
ইউরোপিয়ান ট্যুরের ভুলে ১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড হারিয়ে ফেলেছিলেন ফ্লিটউড। ছবি: রয়টার্স

অবস্থাটা একটু ভাবুন। বেশ কদিন খেটে কোটি টাকা আয় করলেন। নিজের অর্জিত অর্থটা আয়েশ করে ভোগ করতে গিয়েই হঠাৎ জানলেন, আপনার অর্থ গায়েব! না, কেউ চুরি করেনি। কিন্তু যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সঠিক জায়গায় অর্থ পাঠানোর তারা গুবলেট পাকিয়ে এত বড় ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে আপনাকে। তখন কেমন লাগবে আপনার?

উত্তর খুঁজে না পেলে টমি ফ্লিটউডের শরণাপন্ন হতে পারেন। নিজের কষ্টার্জিত এক লাখ ২০ হাজার পাউন্ড এভাবে হারিয়ে ফেলেও মজা খুঁজে পাচ্ছেন এই ইংলিশ গলফার। কারণ, ঘটনাটি মজারই। কদিন আগেই শেষ হয়েছে দ্য ওপেন। এবারের ওপেনে যুগ্মভাবে দ্বাদশ হয়েছেন ফ্লিটউড। সে সুবাদেই প্রাইজমানি হিসেবে এক লাখ ২০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মূল্যমানে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি) প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর।

কিন্তু ইউরোপিয়ান ট্যুর এ অর্থ পাঠাতে গিয়ে ঝামেলা করে ফেলেছে। ২৭ বছর বয়সী ইংলিশ গলফারের বদলে তারা এ অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছে অন্য এক টমি ফ্লিটউডের কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই টমাস ফ্লিটউডও গলফার। তবু ২৭ বছর বয়সী একজনের সঙ্গে ৫৮ বছরের আরেক ব্যক্তিকে গুলিয়ে ফেলাটা একটু বাড়াবাড়িই। তার ওপর সে ব্যক্তি যদি হয় ভিন্ন এক দেশের। এই ভুল ফ্লিটউড ইংলিশ গলফারের মতো বিখ্যাত কেউ নন, আর থাকেনও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। হঠাৎ এমন অর্থপ্রাপ্তিতে বিভ্রান্ত ফ্লিটউড অবশ্য সঠিক ব্যক্তির কাছে অর্থ পাঠানোর চেষ্টা করছেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল ছিল। আমি ওদের সিনিয়র ট্যুরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যাতে তারা আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পায়।’

ইংলিশ গলফারও ব্যাপারটা হালকাভাবে নিচ্ছেন, ‘এটা সত্যি (ভুলে অর্থ চলে যাওয়া) বলেই মনে হচ্ছে। ওরা ব্যাপারটা দেখছে এবং নিশ্চিত ওরা এতে বিব্রত হচ্ছে। এটা খুব মজার ঘটনা। সাধারণত আমি এসবে নজর দেই না তবে এর সমাধান হবেই।’

ওদিকে যাদের কারণে এমন ঘটনা, সেই ইউরোপিয়ান ট্যুর ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, ‘এটা একটি কারিগরি ত্রুটি ছিল যা আমরা সমাধান করছি এবং এতে দুই পক্ষের যে সমস্যা হয়েছে, সে জন্য ক্ষমা চাইছি।’