স্পেনকে মুক্তি দিয়ে মুক্তি মিলল পিকের

স্পেনের জার্সিতে আর দেখা যাবে না জেরার্ড পিকেকে। ছবি: এএফপি
স্পেনের জার্সিতে আর দেখা যাবে না জেরার্ড পিকেকে। ছবি: এএফপি

স্পেনের জার্সিতে বেশ হাঁপিয়ে উঠেছিলেন ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। জন্মভূমি কাতালুনিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়ায় স্পেনের অনেক মানুষ আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে চাচ্ছিলেন না তাঁকে। গত কিছুদিন স্পেনের জার্সিতে একটি দৃশ্য সবার চোখে পড়ত। পিকের পায়ে বল গেলেই গ্যালারি থেকে উঠত দুয়ো। এমন বোঝা নিয়ে কোনো ফুটবলারই-বা খেলতে চান! শেষ পর্যন্ত জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে মুক্তির রাস্তা খুঁজে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।

রাশিয়া বিশ্বকাপের আগেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপেই জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো দেখা যাবে তাঁকে। ওই সিদ্ধান্তেই অটল থাকলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। তাই রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটিই হয়ে থাকল স্পেনের জার্সিতে পিকের শেষ ম্যাচ। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে স্পেনের হয়ে অভিষেক। ৯ বছরে দেশের হয়ে ১০২টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ৫টি। জিতেছেন ২০১০ বিশ্বকাপ ও দুটি ইউরো।

বিশ্বকাপের পরই এক কলামিস্ট বলেছিলেন, পিকে কথা রাখুন এবং অবসর নিন। বিশ্বকাপে ভয়ংকর টালমাটাল অবস্থা গিয়েছে স্পেন দলের। এমন অস্থিরতার মাঝে পিকে নিয়ে আবারও উত্তেজনা যেন না বাড়ে, স্পেন যেন নতুন করে দল সাজানোর সুযোগ পায়—এমন আশার কথা ছিল সে কলামে। তবে সবাই যে এর পক্ষে ছিলেন তাও নয়। মাত্রই ৩১ বছর বয়স, অভিজ্ঞ এমন একজন ডিফেন্ডারকে খেলাতে পারা যেকোনো দলের জন্যই তো বাড়তি পাওয়া।

অনেকে আশা করেছিলেন বার্সেলোনার সাবেক কোচ লুই এনরিকে স্পেন জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ায় হয়তো মত বদলাতে পারেন পিকে। কিন্তু সাবেক ক্লাব কোচের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার রোমাঞ্চও আর টানল না বার্সেলোনা ডিফেন্ডারকে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানিয়ে বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে লুইস এনরিকের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তাঁকে বলেছি, অনেক ভেবে চিন্তেই আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। স্পেনের হয়ে ক্যারিয়ারটা দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু এখন আমি বার্সার হয়ে খেলার দিকেই সব মনোযোগ দিতে চাই। আর যত দিন ফুটবল খেলব, বার্সাকেই সবটুকু দিতে চাই। আমি অবসর থেকে ফেরার ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাবব না।’