স্টেইন ফিরলেন, দক্ষিণ আফ্রিকাও

মাইকেল ক্লার্ককে আউট করার পর ডেল স্টেইনকে কোলেই তুলে নিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স । রয়টার্স
মাইকেল ক্লার্ককে আউট করার পর ডেল স্টেইনকে কোলেই তুলে নিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স । রয়টার্স

জয়টা কীভাবে হাতছাড়া করতে হয়, সেটা তাদেরই সবচেয়ে ভালো জানা। পরশু পুরোনো সেই রোগটাই ফিরে আসার জোগাড়যন্ত্র প্রায় করেই ফেলেছিল পোর্ট এলিজাবেথে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে বিশ্ব রেকর্ড লক্ষ্য (৪৪৮) ছুড়ে দিয়েও যে স্বস্তিতে ছিল না দলটি। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্নবিরতি ও চা-বিরতির মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মিলে তুলে ফেলেছেন সোয়া শ রান। দ্বিতীয় ইনিংসটা একটু তাড়াতাড়িই ঘোষণা দিয়ে ফেললাম কি না—গ্রায়েম স্মিথের মনে নিশ্চিতই খেলা করছিল ভাবনাটা।
অস্বস্তিতে ছিলেন ডেল স্টেইনও। তাঁর আগুনে গোলাগুলোকেও যে অনায়াসে সামলে যাচ্ছিলেন রজার্স-ওয়ার্নাররা। নির্বিষ উইকেট থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে একবার তো রেগেমেগে বলে লাথিও মারলেন। গত মাস তিনেক মিচেল জনসনের কীর্তির আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারের মনের অবস্থাটা সবচেয়ে ভালো পড়তে পেরেছেন অধিনায়ক স্মিথই, ‘সে যখন বোলিং করছিল, ও প্রচণ্ড রেগে ছিল। তবে আমরা সব সময়ই জানতাম, আমাদের জন্য কিছু করা থেকে সে মাত্র একটি স্পেলের দূরত্বেই দাঁড়ানো।’
স্মিথকে স্বস্তি দিয়ে পরশুই সেই স্পেলটা পেয়ে গেলেন স্টেইন। ২০১০ সালে নাগপুরের মরা পিচে দুর্দান্ত রিভার্স সুইংয়ে যেভাবে ধ্বংস করেছিলেন ভারতকে, সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে উড়িয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারকে। ১ উইকেটে ১৫২ থেকে দেখতে না-দেখতেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৬ উইকেটে ১৬৬ হয়ে গেল স্টেইন-গান ঝলসাল বলেই। পরপর দুই বলে ফেরালেন ক্লার্ক ও স্মিথকে। একটু পরই বোল্ড হাডিনও। ১৫ বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট স্টেইনের!
ওই সময়টার স্টেইনকে নিয়ে ক্লার্ক পরে বললেন, ‘দুই পাশেই রিভার্স সুইং করছে, এমন বোলিংয়ে খেলাটা যেকোনো সময়ই কঠিন। তবে এটা আরও কঠিন হয়ে যায় যখন কেউ শূন্য থেকে শুরু করে। আমি জানতাম বলটা রিভার্স সুইং করছে। সে কত ভালো বোলার ও কতটা জোরে বল করতে পারে তা তো আমার জানাই। তবে ব্যাপারটা হচ্ছে, নিজের উইকেট বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সেটা করতে পারিনি।’
আর পারেননি বলেই ওপেনাররা ১২৬ রান এনে দেওয়ার পরও ২১৬ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টে হারার পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে স্টেইনের দক্ষিণ আফ্রিকা বুঝিয়ে দিল কেন তারা টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দল। তথ্যসূত্র: এএফপি ও ওয়েবসাইট।