নিরাশ করলেন বাকি

এশিয়ান গেমসে প্রত্যাশিত ফল পাননি বাকি। ফাইল ছবি
এশিয়ান গেমসে প্রত্যাশিত ফল পাননি বাকি। ফাইল ছবি

কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে পার্থক্য অনেক। আরেকবার সেটা বুঝলেন গত দুটি কমনওয়েলথ গেমসে রুপাজয়ী শুটার আবদুল্লাহে হেল বাকি। আজ এশিয়ান গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাকি ভালো করতে পারেননি মোটেও। ৪৪ জনে হয়েছেন ১৯তম।

গত এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জয়ের পথে বাছাইয়ে বাকি স্কোর করেন ৬১৬ স্কোর। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে ৬১৫। আজ পালেমবাংয়ের শুটিং রেঞ্জে তাঁর স্কোর সে তুলনায় ভালো, ৬১৮। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মান অনুযায়ী এটা বেশ কম। বাকি নিজেই এতে হতাশ, ‘ঢাকায় অনুশীলনে আমার ৬২৭ পর্যন্ত স্কোর হয়েছে। এখানে এক কম হবে ভাবিনি।’ অষ্টম হয়ে চূড়ান্ত পর্বে ওঠা উজবেক প্রতিযোগীর স্কোর ৬২৪। নিজের সেরাটা দিতে পারলে বাকির প্রথমবারের মতো এশিয়াডের ফাইনালে খেলা অসম্ভব ছিল না।

৫১তম শটটা বেশি খারাপ হয়ে যায় বাকির, ৮.৬। এই শটেই ছিটকে যান লড়াই থেকে। খেলা শেষে বলেন, ‘গত অলিম্পিকে যাওয়ার আগে ৬৩০ স্কোর করি। গড়ে ৬২৭/২৮ হয়েছে। অথচ অলিম্পিকে হয়েছে ৬২১.৯! আসলে স্নায়ুচাপই আমার বড় শত্রু হয়ে গেছে।’

বাকির আক্ষেপ, ‘এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এলে মনে হয় আমি নতুন। আমি তো আসিই বছরে একবার–দুবার। একটা-দুইটা ফাইনাল খেলি কপালে থাকলে। বাইরে খেলার সুযোগ পাচ্ছি না। সুযোগ না পেলে উন্নতি করা সম্ভব নয়।’ গত চার মাসে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ হয়নি বাকির। ফেডারেশন কোথাও পাঠাচ্ছে না।

কোচ ক্লাভস কিছুটা নিরাশ বাকির স্কোর দেখে। তাঁর কথা, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা বাইরে যাচ্ছি না খেলতে। ফেডারেশনের হয়তো টাকার অভাব। কিন্তু বাইরে বড় বড় প্রতিযোগিতায় খেলার বিকল্প নেই। বাকি খেলার মধ্যে না থাকলে বড় প্রতিযোগিতায় স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে না স্বাভাবিক। তবে শেষ ১০ শট খারাপ না হলে সে ১২-১৩ তম স্থানে থাকতে পারত। সেটি হতো মোটামুটি ভালো ফল।’

এশিয়ান গেমসে চীন, জাপান, কোরিয়ার প্রতিযোগীরা থাকেন বলে এখানে লড়াই করাও অনেক কঠিন। বাকি ভালো করতে না পারলেও ভারতের দুজন রবি কুমার ও দীপক কুমার উঠেছেন ফাইনালে।