ঈদের আগেও বকেয়া টাকা পাননি ক্রিকেটাররা!

>
নালিশ জানাতে বিসিবি কার্যালয়ে ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা।  ছবি: প্রথম আলো
নালিশ জানাতে বিসিবি কার্যালয়ে ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা। ছবি: প্রথম আলো

কাল সংবাদমাধ্যমের কাছে অলক কাপালি বলেন, ‘ব্রাদার্স থেকে বলা হয়েছিল রোজার ঈদের আগে দেবে। ঈদের আগে একটা তারিখ দিতে বলেছিলাম। এরপর ঈদ শেষ হয়ে গেল। তারিখ আর কেউ দেয়নি। তারপর আবার ক্লাব বলেছে কোরবানির ঈদের আগে দেবে। কিন্তু আজও (কাল) ক্লাবের কোনো খোঁজ নেই’

ঈদের আগে যেন ভাঙা হাট মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। নারী দল-যুব দলের ক্যাম্প ছুটি হয়ে গেছে। মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, তাসকিনরা আসেন, নিজের মতো করে অনুশীলন করে চলেও যান। কদিন ধরে এমনই নিরুত্তাপ সময় কাটছে ‘হোম অব ক্রিকেটে’। এই নিস্তরঙ্গ জীবনধারায় কাল হঠাৎই খানিকটা উত্তাপ এনে দিলেন অলক কাপালি, জুনায়েদ সিদ্দিকী, খালেদ আহমেদরা। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন কথা দিয়েছিল রোজার ঈদের আগেই পারিশ্রমিকের শেষ কিস্তির (২৫ শতাংশ) টাকা পেয়ে যাবেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু সেই ঈদ পেরিয়ে কোরবানির ঈদ এসে গেলেও টাকা পাননি কোনো খেলোয়াড়। নিয়ম অনুযায়ী, লিগ শুরুর আগে ৫০ শতাংশ, খেলা চলাকালে ২৫ শতাংশ ও খেলা শেষের এক মাসের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ টাকা ক্রিকেটারদের দিতে হবে। কিন্তু লিগ শেষের সাড়ে চার মাস পরও শেষ কিস্তির টাকা দেয়নি ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কাল সংবাদমাধ্যমের কাছে কাপালি বলেন, ‘ব্রাদার্স থেকে বলা হয়েছিল রোজার ঈদের আগে দেবে। ঈদের আগে একটা তারিখ দিতে বলেছিলাম। এরপর ঈদ শেষ হয়ে গেল। তারিখ আর কেউ দেয়নি। তারপর আবার ক্লাব বলেছে কোরবানির ঈদের আগে দেবে। কিন্তু আজও (কাল) ক্লাবের কোনো খোঁজ নেই।’

এর আগে মে মাসে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের খেলোয়াড়েরা বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবিতে বিসিবির কাছে অভিযোগ করেছিলেন। লিগের পর পারিশ্রমিক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে হওয়ায় বিরক্ত কাপালি ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েস’ পদ্ধতি নিয়েই ক্ষুব্ধ, ‘এখন প্লেয়ার বাই চয়েস আমাদের জন্য ভালো হবে কি না, এটা নিয়ে আবারও চিন্তা করতে হবে। আমাদের সবার পরিবার চলে প্রিমিয়ার লিগের টাকায়। এখানে সবকিছু মেনেও সময়মতো পারিশ্রমিক না পাওয়া দুঃখজনক।’

বকেয়া পারিশ্রমিকের জন্য শুধু বিসিবি নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পরিচালক সংস্থা সিসিডিএম ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) কাছেও গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতি কোয়াবেরও অপছন্দ বলে জানিয়েছেন দেবব্রত।

সময় দিয়েও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কেন দেওয়া হচ্ছে না, জানতে চাইলে ব্রাদার্সের ক্রিকেট ম্যানেজার আমিন খান বলেন, ‘টাকা তো দিয়ে দেওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির সাহেব হজে গেছেন। তিনি ফিরলেই খেলোয়াড়দের সব পাওনা পরিশোধ করে দেব।’