যৌনকর্মীকে টাকা দিয়ে কেলেঙ্কারি

জাপানের শেফ দ্য মিশন ইয়াসুহিরো ইয়ামাশিতা পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ছবি: এএফপি
জাপানের শেফ দ্য মিশন ইয়াসুহিরো ইয়ামাশিতা পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ছবি: এএফপি

লজ্জায় মাথা হেঁট! কথাটাকে প্রতীকী মনে হলো। যখন জাপান দলের শেফ দ্য মিশন জাপানি কেতায় মাথা নুয়ে বিদায় বললেন সংবাদ সম্মেলনের সাংবাদিকদের। জাপানের মাথা যে আসলেই নুয়ে গেছে। এশিয়ান গেমসে তাদের বাস্কেটবল দলের চার খেলোয়াড় রীতিমতো কেলেঙ্কারি করে বসেছেন। নৈশভোজে বেরিয়ে যৌনকর্মীদের নিজের হোটেলে নিয়ে এসেছেন। রাত কাটিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে ওই চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলে থাকা বাকি ৮ জনকে নিয়েই এশিয়ান গেমসের বাকিটা পথ পাড়ি দিতে হবে জাপানকে। এই খবর দিয়েছে বিবিসি।

গত বৃহস্পতিবার কাতারের বিপক্ষে জেতার পর ঘটেছে এই ঘটনা। রাতে জাপানের চার খেলোয়াড় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন জাকার্তায়। তাঁদের পরনে ছিল জাপান জাতীয় দলের পোশাক। সঙ্গী হিসেবে ছিল জাপানি দোভাষী একজন। এক নাইট ক্লাবে গিয়ে সম্ভবত দালালের খপ্পরে পড়েছিলেন এই চার খেলোয়াড়। রাতে হোটেলে ফেরার সময় সঙ্গে করে নিয়ে আসেন যৌনকর্মী। এই খবর ফাঁস হয়ে গেলে জাপানে বেশ শোরগোল পড়ে যায়।

জাপানের শেফ দ্য মিশন ইয়াসুহিরো ইয়ামাশিতা পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এই ঘটনার জন্য, ‌‘আমার খুব লজ্জা লাগছে। আমি মন থেকে ক্ষমা চাইছি। এরপর থেকে আমরা খেলোয়াড়দের আরও ভালো করে আদব-কায়দা শেখাব।’

বাস্কেটবল খেলায় ৫ জন কোর্টে থাকেন, ৭ জন থাকেন বেঞ্চে। জাপানের হাতে এখন বদলি হিসেবে নামানোর জন্য তিনজন মাত্র থাকলেন। ২ বার সোনা ও ৬ বার এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতা জাপান তবু এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নয়। ইয়ামাশিতা বলেছেন, ‌‘ওই খেলোয়াড়দের নিজের টাকায় দেশে ফিরে যেতে হবে। ওদের মনে রাখা উচিত, খেলোয়াড়েরা সমাজের আদর্শ। শুধু খেলার মাঠে নয়, সবখানেই তারা প্রতিনিধিত্ব করে দেশকে।’