সেরা স্কোরেও ২২তম শাকিল

ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করেও ফাইনালে উঠতে পারেননি শাকিল। ছবি: প্রথম আলো
ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করেও ফাইনালে উঠতে পারেননি শাকিল। ছবি: প্রথম আলো

আন্তর্জাতিক গেমসে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনার ইভেন্ট শুটিং। গত এপ্রিলে গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে দুটি রুপা জিতে সেটার প্রমাণও দিয়েছিলেন শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি ও শাকিল আহমেদ। তবে এশিয়ান গেমসে এই শুটাররাই অনেক পেছনে পড়ে আছেন। কমনওয়েলথ গেমসের চেয়ে এশিয়ান গেমস অনেক বেশি কঠিন। দশ মিটার এয়ার পিস্তলে ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করেছেন শাকিল (৬০০-এ ৫৭০)। তবু ৪০ জনে ২২তম হয়ে ফাইনালের আগেই বাদ এই শুটার।

এশিয়ান গেমসে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের বিশ্বসেরা শুটাররা খেলছেন। অনেক অলিম্পিক পদকজয়ী আছেন। তাঁদের সঙ্গে লড়াই করে গত পরশু দশ মিটার এয়ার রাইফেলে আবদুল্লাহ হেল বাকি ৪৪ জনে ১৯তম হয়েছিলেন। সেরা আটের ফাইনালে ওঠার আশা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া এসে হতাশা নিয়েই ফিরছেন। চার মাস আগে কমনওয়েলথ গেমসে রুপাজয়ী আরেক শুটার শাকিলও আজ হেঁটেছেন বাকির পথে। দশ মিটার এয়ার পিস্তলে ফাইনালে ওঠার আশা ছিল তাঁর। কারণ, অনুশীলনে খুব ভালো স্কোর হচ্ছিল। কিন্তু সেই অনুশীলন স্কোরটা (৫৮০ ঊর্ধ্ব) করতে পারেননি শাকিল। যদিও ৬৭০-ই প্রতিযোগিতায় তাঁর ক্যারিয়ার সেরা, তারপরও ৪০ জনে হয়েছেন ২২তম।

কমনওয়েলথ গেমসে শাকিল দশ মিটার এয়ার পিস্তলে ৫৬৩ স্কোর করেছেন। ফাইনালে উঠে ষষ্ঠ হন। আর রুপা জেতেন ৫০ মিটার ফ্রি-পিস্তলে। এই ইভেন্টে ৬০০তে স্কোর ছিল ৫৪৬। এর আগে এসএ গেমসে ৫০ মিটারে ৫২৬ করেই ফাইনালে উঠে সোনা জেতেন। তখন দশ মিটার এয়ার পিস্তলে তাঁর স্কোর হয় ৫৫৬। এখন এশিয়ান গেমসে আগের সব স্কোর পার করেও সেরা আটের ধারেকাছেও নেই। এতেই বোঝা যায় এশিয়ান গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কত কঠিন।

শাকিলের মূল ইভেন্ট ৫০ মিটার ফ্রি-পিস্তল। আজ পালেমবাংয়ের জাকাবারিং শুটিং রেঞ্জে দশ মিটার এয়ার পিস্তলে খেলা শেষে শাকিল বলছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল ফাইনালে যাওয়া। সেটা না পারলেও নিজেরা সেরা করতে পেরেছি বলে একটা সান্ত্বনা আছে। ৫৭০ করতে পারলে ভবিষ্যতে ৫৮০ও হতে পরে। তাই উন্নতি হয়েছে বলতে পারেন।’

ভারতের যিনি প্রথম হয়েছেন, বাছাইয়ের তাঁর স্কোর ছিল ৫৮৬। এখানেই শাকিলের একটু আক্ষেপ আছে, ‘গতকালও অনুশীলনে আমার স্কোর ছিল ৫৮৭।’ কিন্তু সমস্যাটা হয়েছে অনুশীলন স্কোরটা আর প্রতিযোগিতায় এসে করতে পারেন না বাংলাদেশের শুটাররা। কারণ কী? শাকিলের উত্তর, ‘বড় আসরে এসে আসলে আমরা নার্ভাস হয়ে পড়ি। এটাই বড় সমস্যা। আমাদের আরও বেশি বেশি খেলে নিজের ভেতর একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা উচিত।’

এটাই আসলে সব কথার শেষ কথা। স্নায়ু ধরে রেখে বড় আসরে ভালো করার অভ্যাস গড়ে তোলাই এখন বাংলাদেশর শুটারদের বড় কাজ।