চুমু যখন ওড়ে

গ্যালারি ও মাঠ দুই প্রান্ত থেকেই ভালোবাসা ছুটে গেছে অন্য প্রান্তে। সংগৃহীত ছবি
গ্যালারি ও মাঠ দুই প্রান্ত থেকেই ভালোবাসা ছুটে গেছে অন্য প্রান্তে। সংগৃহীত ছবি

প্রথম ইনিংসেই বড় একটা দুঃখ পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে নড়বড়ে নব্বইয়ে আটকা পড়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও আবারও নব্বইয়ে এসে নড়বড়ে দেখাল বিরাট কোহলিকে। ৯৩ রানে স্লিপ কর্ডনে ক্যাচ অনুশীলন করালেন একটি। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনকে হতাশ করে কিটন জেনিংস হাতের ফাঁক দিয়ে বল চলে যেতে দিলেন।

এরপরও বেশ কয়েকটি বল অস্বস্তিতে কাটালেন। ক্রিস ওকসের একটি বল উইকেটের পেছনে পাঠিয়েই লাফ দিয়ে উঠলেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসের দুঃখ কাটিয়ে শতক ছোঁয়ার আনন্দে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন। তবে তাঁর আগেই স্ত্রীর দিকে ভালোবাসার তিরে চুমু পাঠিয়ে দিয়েছেন। গ্যালারিতে থাকা আনুশকা শর্মাও সে চুমু গ্রহণ করলেন সহাস্যে। তারপর আবার কোহলির দিকে ফেরত পাঠালেন উড়ন্ত চুমু।

তা পাঠাতেই পারেন, হাজার হলেও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন কোহলি। ইংল্যান্ডে কিছু করে দেখাতে হবে, এ প্রত্যয় নিয়ে এসেছিলেন। প্রথম টেস্টে এক সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ২০০ রান। তৃতীয় টেস্টেও এক সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ঠিক ২০০ রান। এ সিরিজে ৬ ইনিংসে এখন পর্যন্ত তাঁর রান ৪৪০। গড় ৭৩.৩৩। ছয় ইনিংসের চারটিতে কমপক্ষে ৫০ পেরিয়েছেন।

কোহলির এমন পারফরম্যান্সেই দুই টেস্টের হতাশা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। ইংল্যান্ডকে ৫২১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে সফরকারীরা। টেস্টে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডই এর চেয়ে ১০৩ রান কম। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েছিল অবিশ্বাস্যভাবে। আর ইংল্যান্ড তো চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩২ রান করে জিতেছে, সেটাও ১৯২৮/২৯ মৌসুমে। ভারতের জয় আটকাতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে ইংলিশদের। আর তা না হলে নির্ঘাত আরও বেশ কিছু উড়ন্ত চুমু ছুটে যাবে কোহলির দিকে।