বাংলাদেশকে ঈদ উপহার হকি দলের

আরেকটি গোলের পর বাংলাদেশ দল। ছবি: এএফপি
আরেকটি গোলের পর বাংলাদেশ দল। ছবি: এএফপি

ঈদের দিন মাঠে নামাই খেলোয়াড়দের জন্য অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে কার না মন চায়! কিন্তু দেশের বাইরে থাকলে তো আর কিছু করার নেই। বাংলাদেশ হকি দলেও হয়েছে সেই অনুভূতি। তবে ঈদের দিনে জয় পেয়ে দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিতে পারার মধ্যেও আছে বড় আনন্দ। যদিও সেই আনন্দটা আজ আরও অনেক বেশি হতে পারত বাংলাদেশ হকি দলের, কাজাখস্তানকে আজ ভাসিয়ে দিতে পারত অন্তত ১০-১২ গোলে। তারপরও ৬-১ গোলে হারানোর মধ্যেও কম আনন্দ নেই!

এশিয়ান গেমসের শুরুতেই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ওমানকে ২-১ গোলে হারানোর পর আজকের কাজাখস্তান ম্যাচই অনেক সহজ বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। জাকার্তার হকি মাঠে বাংলাদেশ দল খেলেছেও একতরফা। গোল নষ্ট হয়েছে অনেক। এ নিয়ে অতৃপ্তি এবং অসন্তোষ আছে কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তির, ‘এভাবে গোল নষ্ট করা উচিত হয়নি ছেলেদের। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে পুরোপুরি। সেটা না পারায় আমি বলব সামনেও গোল নষ্ট করা নিয়ে সমস্যায় ভুগতে হবে আমাদের দলকে।’

বাংলাদেশ দল ১১টি পেনাল্টি কর্নার পেয়ে কাজে লাগাতে পেরেছে মাত্র ৩টি। যার দুটি গোল পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ আশরাফুল ইসলামের, একটি মামুনুর রহমান চয়নের। বাকি তিন গোল করেছেন রাব্বি, জিমি ও কৌশিক।

কাজাখস্তানের সঙ্গে অনেক বছর পর খেলল বাংলাদেশ। এই দলের খেলোয়াড়দের কাছে তাই কাজাখস্তান ছিল অনেকটা অচেনা। সেই অচেনা প্রতিপক্ষকেই মাঠে দাঁড়াতে দেননি জিমি-চয়নরা। চেপে ধরেছেন শুরু থেকেই। তাঁদের পূর্বসূরি মাহবুব এহসান রানা এখন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার। সেই রানা আজ ম্যাচের পর বলছিলেন, ‘আমরা নব্বই দশকের শেষ দিকে একবার খেলেছিলাম কাজাখস্তানের সঙ্গে। সম্ভবত ২-১ গোলে জিতেছিলাম।’ সে তুলনায় আজ জয়ের ব্যবধান বড়ই হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ দল পুরোপুরি খুশি হতে পারেনি। কারণ, পেনাল্টি কর্নারগুলো ঠিকভাবে নিতে না পারা। ভুল ছিল অনেক।

গ্রুপে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ ২৪ আগস্ট মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। ২৬ আগস্ট থাইল্যান্ড এবং ২৮ আগস্ট পাকিস্তান। মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান ম্যাচ দুটি কঠিনই বাংলাদেশের জন্য। এই দুটি ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় জানেন কোচ-খেলোয়াড়েরা। তবে থাইল্যান্ড ম্যাচে আছে জয়ের প্রত্যাশা। সেটিতে জিতলে গ্রুপে তিন জয়ে তৃতীয় হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বলই থাকবে। তৃতীয় হতে পারলে অন্য গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে সম্ভবত জাপানকে পাবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের ফলের ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশ এবার পঞ্চম হতে পারবে কি না। পঞ্চম হতে পারলে সেটি হবে খুবই ভালো ফল। জিমিদের যা আত্মবিশ্বাস তাতে মনে হচ্ছে এবার হকি দল অন্তত মন খারাপ করে দেশে ফিরবে না। কিছু প্রাপ্তিও সঙ্গে থাকবে।