'আর্জেন্টিনা'কে ফাইনাল জেতাতে পারবেন তিনি?

>
আর্জেন্টিনাকে ইউএস ওপেনের ফাইনালে তুলেছেন হুয়ান মার্টিন দেল পেত্রো। ছবি: রয়টার্স
আর্জেন্টিনাকে ইউএস ওপেনের ফাইনালে তুলেছেন হুয়ান মার্টিন দেল পেত্রো। ছবি: রয়টার্স

ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন নোভাক জোকোভিচ ও হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি দেখাবে স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ওয়ান

‘ফুটবলটাই আমার বেশি ভালো লাগে। এমনকি টেনিসের চেয়েও। টেনিস তো আমার পেশা, জীবিকার জন্য খেলি। কিন্তু আমার নেশা টেনিস। পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর যদি কোনো ক্লাব তখনো আমাকে দলে নেয়, আমি ফুটবলটাই খেলব।’ ফুটবলের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা এভাবেই বলেছিলেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। মানুষ আর্জেন্টিনার, টেনিসের ছোট্ট বলে খুশি হবেন কেন!

টেনিসে নিজের ব্যস্ত সময়টা অগ্রাহ্য করে চোখ রেখেছিলেন গত বিশ্বকাপে। প্রত্যাশা করেছিলেন, আর্জেন্টিনা অন্তত ফাইনাল পর্যন্ত যাবে। আগের বিশ্বকাপে যেমন গেছে। কিন্তু অলৌকিক কিছু করে দেখাতে পারেননি লিওনেল মেসি। তবে ক্রীড়াঙ্গনের আরেক বড় আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনার পতাকা নিয়ে গেলেন হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো। গ্র্যান্ড স্লাম ব্যক্তিকেন্দ্রিক খেলা। এখানে দেশ গৌণ। ভিন্ন দুই দেশও এখানে জোট বাঁধে দ্বৈতে বা মিশ্র দ্বৈতে। তবু হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর জয় তো আর্জেন্টিনারও জয় হবে। যদিও কাজটা তাঁর জন্য সহজ নয়। ইউএস ওপেনের ফাইনালে প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচ।

গত বছর লম্বা একটা সময় টেনিসের বাইরে থাকায় জোকোভিচ শুধু র‍্যাঙ্কিংয়েই দেল পোত্রোর চেয়ে পিছিয়ে। দেল পোত্রোর র‍্যাঙ্কিং ৩, জোকোভিচের ৬। এর বাইরে সবকিছুতেই এগিয়ে রাখতে হবে জোকোভিচকে। ফ্লাশিং মিডোয় দেল পোত্রো শিরোপা জিতেছেন ১টি। জোকোভিচ ২টি। মুখোমুখি লড়াইয়েও ঢের এগিয়ে। ১৮টি ম্যাচের ১৪টিতেই জিতেছেন সার্বিয়ান তারকা। যার দুটি কোনো সেট না হেরেই, ২০০৭ ও ২০১২ ইউএস ওপেনে। সেই হিসাবে আজকের ফাইনালে জোকোভিচই ফেবারিট। তবে সেটা জেনেও ফাইনালের আগে মাটিতেই পা রাখছেন সার্বিয়ান তারকা। বললেন দেল পোত্রোকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথাও, ‘আমরা কখনো কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে মুখোমুখি হইনি। ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা। ব্যক্তি হিসেবে সে অসাধারণ। অতীতে চোট নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগেছে সে। কিন্তু সে বড় ম্যাচের খেলোয়াড়।’

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন জেতার পথে দেল পোত্রো হারিয়ে দিয়েছিলেন নাদাল ও ফেদেরারকে। আরেকটি ফাইনালের আগে সেই স্মৃতিটাই ভাসছে দেল পোত্রোর চোখের সামনে, ‘এই কোর্টে আমার সবচেয়ে মধুর স্মৃতিটা ২০০৯ সালে। রাফা ও রজারকে হারিয়েছিলাম আমি। তখন তো বলতে গেলে আমি শিশু ছিলাম। এখন কিন্তু বেশ বড় হয়েছি।’
শেষ কথাটা বোধ হয় জোকোভিচের জন্য সতর্কবার্তাও।