মেসির জার্সিটা তোলাই আছে

গুয়েতেমালা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচে কাউকে দেওয়া হয়নি লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সি। ফাইল ছবি
গুয়েতেমালা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচে কাউকে দেওয়া হয়নি লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সি। ফাইল ছবি
>লিওনেল মেসির ফেরার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লিওনেল স্কালোনি। গত শনিবার গুয়েতেমালার ও আজ কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মেসির ১০ নম্বর জার্সি দেওয়া হয়নি অন্য কাউকেই।

প্রীতি ম্যাচ তো আর ফিফার টুর্নামেন্টের মতো নয়, যে এখানে জার্সি নম্বর ১ থেকে ২৩-এর মধ্যেই থাকতে হবে। গুয়াতেমালার বিপক্ষে গত শনিবারের প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার কে কোন জার্সি পরে খেলেছেন, তা নিয়ে তাই মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। সব ভাবনা বরং যে জার্সিটা কেউ পরেননি, সেটি নিয়ে। ১০!

আর্জেন্টিনার ‘১০’ বললে ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর লিওনেল মেসির নামই মনে পড়ে। তা গুয়াতেমালার বিপক্ষে ম্যাচের মতো, বাংলাদেশ সময় আজ ভোর ছয়টায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও ছিলেন না মেসি। বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে ‘বিরতি’টা কখন কাটাবেন, তা জানাননি ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। আদৌ কাটাবেন কি না, নাকি একেবারেই অবসরে যাবেন, অনিশ্চয়তা আছে তা নিয়েও। সেটির মধ্যে এই দুই ম্যাচে জার্সিটা কাউকে আর দেয়নি আর্জেন্টিনা। মেসি আসবেন, জার্সিটা পরবেন, সেই আশায়ই হয়তো। তা তো আর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, তবে আর্জেন্টিনার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লিওনেল স্কালোনি শুধু এতটুকু জানিয়েছেন, মেসি অবসরের ঘোষণা দিলে অন্য কথা, না হলে জার্সিটা আপাতত মেসির জন্যই তোলা।

জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচে এর আগেও অনেক ম্যাচে খেলেননি মেসি। এমন নয়, তখন কেউ ১০ নম্বর জার্সিটা পরেননি। কখনো সার্জিও আগুয়েরো, কখনো অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া...। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, ‘১০ ’-ও অব্যবহৃত। কেন, সেটা নিয়ে প্রশ্নে স্কালোনি অবশ্য দিয়েছেন সহজ ব্যাখ্যা, ‘আপনাদের প্রশ্নের একটাই উত্তর আছে। বিশ্বকাপে খেলা যে খেলোয়াড়েরা এখানে আছে, সবাই বিশ্বকাপের জার্সি নম্বরটা নিয়েই খেলছে। ১০ নম্বর জার্সিটা এখন মেসির। সে আমাদের (আর্জেন্টিনা দল) সঙ্গে চালিয়ে যাবে কি না, সেটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তা-ই থাকবে।’

মেসি ফিরবেন কি না, সেটি তো এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড নিজে বিশ্বকাপের পর থেকেই এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন, কিছু জানা যাচ্ছে না তাঁর আশপাশের কারও কাছ থেকেও। তবে স্কালোনি বসে আছেন ২০০৬ বিশ্বকাপে তাঁর সতীর্থ মেসির ফেরার আশায়, ‘আমরা এখনো সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে ভাবছি না। ভবিষ্যতে দেখা যাক কী হয়! তবে এখন কেউ ১০ নম্বর জার্সিটা ব্যবহার করছে না, কারণ সেটা একান্তই ওর (মেসি)। আর (জার্সিটি কেউ না পরার) সিদ্ধান্তটা আমার।’

গুয়াতেমালার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল মেসিহীন ‘নতুন’ আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ, তাতে জয় ৩-০ গোলে এসেছে ঠিকই। কিন্তু একে প্রীতি ম্যাচ, তার ওপর প্রতিপক্ষ ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৪৬ তম। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা আরও বড় পরীক্ষা নেওয়ার কথা আর্জেন্টিনার। তবে তাতে জিতলেও কী, মেসির অভাব ঘোচানোর তো কেউ নেই! অন্তত স্কালোনির চোখে ব্যাপারটা সে রকমই, ‘এটা তো স্পষ্ট যে, যখন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মাঠে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলে না, দল কিছু একটা হারায়। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’ একই সুর চোটের কারণে গুয়াতেমালার বিপক্ষে খেলতে না পারা লওতারো মার্তিনেজের কণ্ঠেও। মেসিকে আর আর্জেন্টিনার দরকার আছে কি না, প্রশ্নে ইন্টার মিলান স্ট্রাইকারের উত্তর, ‘এ নিয়ে কোনো সংশয় আছে! ও একজন আর্জেন্টাইন, আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ও মাঠে নামলেই ওর খেলা আমরা পুরোপুরি উপভোগ করি। ও আর্জেন্টিনার ফুটবলকেই এগিয়ে নেয়।’