বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের কথা ভাবেনি কেউ?

এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ। অদ্ভুত সূচির দুশ্চিন্তা আপাতত দূরে সরিয়ে রাখছে দল। ছবি: এসিসি
এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বাংলাদেশ। অদ্ভুত সূচির দুশ্চিন্তা আপাতত দূরে সরিয়ে রাখছে দল। ছবি: এসিসি

‘ধর তক্তা, মার পেরেক।’

এটিকেই ২০১৮ এশিয়া কাপের স্লোগান মেনে নেওয়া যায়। প্রথম পর্বে টানা ছয় দিনে ৬টি ম্যাচ খেলে শীর্ষ চার দল বেছে নেওয়া হবে এবার। সে চার দলকে আবার দ্বিতীয় পর্বে খেলতে হবে দুটি করে ম্যাচ। সে ম্যাচগুলোও হবে তিন দিনের মধ্যে। এমন ঠাসাঠাসি সূচির তোপটা প্রথমে টের পাচ্ছে ভারত। কিন্তু আসল ধাক্কাটা খেতে হবে বাংলাদেশ অথবা আফগানিস্তানকেই।

এবারের এশিয়া কাপে প্রথম পর্বের ৬ দিনে ৬টি ম্যাচ। দ্বিতীয় পর্বের ৭ দিনেও সাতটি ম্যাচ হবে। ১০০ ওভারের ক্রিকেটে এতটা ব্যস্ত সূচি দেখেই হয়তো বিরাট কোহলি শিরোপা পুনরুদ্ধারের দায়টা ঠিক অনুভব করছেন না। অস্ট্রেলিয়া সফরকে মাথায় রেখে দলের সেরা খেলোয়াড়কে তাই বিশ্রাম দিতেও দ্বিধা হয়নি ভারতের।

আগামী শনিবার দুবাইয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপ। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন আর ২০১৬ সালের রানার্সআপদের গ্রুপে অপর দল আফগানিস্তান। এই গ্রুপে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচটিই যত ঝামেলা পাকিয়ে দিয়েছে। এসিসির সূচির ত্রুটির কথা এক মাস আগেই নজরে এনেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ। ১৮ ও ১৯ টানা দুই দিন দুটি ম্যাচ খেলবে ভারত। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হওয়ার ক্লান্তি মোছার আগেই পাকিস্তানের সঙ্গে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রোহিত শর্মাদের।

ঐতিহ্যগত কারণে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ক্রিকেটীয় দিক থেকে গ্রুপে হংকংয়ের সঙ্গে আগেই ম্যাচ হয়ে যাওয়ায় দুই দলের জন্য এ ম্যাচ হয়তো শুধুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে রূপ নেবে। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বরের ম্যাচটি ক্রিকেটীয় দিক থেকে তো বটেই, দ্বিতীয় পর্বের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে যে দলই বিজয়ী হোক কিংবা পরাজিত; পরদিনই দ্বিতীয় পর্বের আরেকটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে তাদের!

২১ তারিখ শুরু হবে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া দুই দলকেই সেদিন মাঠে নামতে হবে। আর ‘বি’ গ্রুপে যেহেতু আছেই মাত্র তিন দল, তার মানে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে অন্তত এক দলকে টানা দুই ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সমীকরণে মিললে হয়তো দুই দল!

ঝামেলা এখানেও শেষ হচ্ছে না! গ্রুপে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ দুবাইয়ে খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে আবুধাবিতে। আবার ‘বি’ গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়া দলকে দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে হবে দুবাইয়ে। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজ নিজ ম্যাচ হেরে থাকলে এ ম্যাচটি দুই দলই খেলতে নামবে দুই উদ্দেশ্য নিয়ে। এক, ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করা এবং দুই, ম্যাচ শেষ হওয়ার দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য আগেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখা। আর যদি আগেই দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রেও পরের দিনের ম্যাচটি কোথায় খেলবেন, কীভাবে খেলবেন সে সমীকরণ মেলানোর দুশ্চিন্তা তো থাকছেই!