নেপালের ২১ লাখ টাকা কবে দেবে বাফুফে?

মাঠের খেলায় নেপাল ভালো করছে, অথচ তাদের ভাবতে হচ্ছে বাফুফের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে! ছবি: প্রথম আলো
মাঠের খেলায় নেপাল ভালো করছে, অথচ তাদের ভাবতে হচ্ছে বাফুফের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে! ছবি: প্রথম আলো
>২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের দুটিসহ ৮টি দল অংশগ্রহণ করেছিল শেষ বঙ্গবন্ধু কাপে। ২২ জানুয়ারি ফাইনালে বাহরাইন যুব দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। ঘোষণা অনুযায়ী তাদের পাওনা ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি। টুর্নামেন্ট শেষে প্রায় দেড় বছর ঘুরিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ২৫ হাজার ডলার। আর বাকি ২৫ হাজার ডলার (প্রায় ২১ লাখ টাকা) এখনো দেওয়া হয়নি নেপালকে।

শেষ কবে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, তা ভুলে যাওয়ারই কথা! ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হয়েছিল আন্তর্জাতিক এ আসর। টুর্নামেন্টের আড়াই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়ন নেপালকে এখনো প্রাইজ মানির পুরোটা বুঝিয়ে দেয়নি আয়োজক বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আসন্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে তাদের খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অংশ না-ও নিতে পারে হিমালয়ের দেশটি।

বাংলাদেশের দুটিসহ ৮টি দল অংশ নিয়েছিল গত বঙ্গবন্ধু কাপে। ২২ জানুয়ারি ফাইনালে বাহরাইন যুব দলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। ঘোষণা অনুযায়ী তাদের পাওনা ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে প্রায় দেড় বছর পর তাদের দেওয়া হয়েছিল ২৫ হাজার ডলার। বাকি ২৫ হাজার ডলার এখনো দেওয়া হয়নি। টাকার অঙ্কে যেটি প্রায় ২১ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে এতে অসন্তুষ্ট অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কৃষ্ণা থাপা আজ জানিয়ে দিয়েছেন, পাওনা অর্থ না পেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দল না-ও পাঠাতে পারেন তাঁরা, ‘কাল রাতেও আমার সঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে, সে বলেছে এখনো প্রাইজ মানি পুরোপুরি বুঝে পাইনি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আমরা দল না-ও পাঠাতে পারি। দেশে ফিরে বলব, দল যেন না পাঠাই। আসলে আমার ছেলেরা কিসের আশায় খেলবে, যদি স্বীকৃতির টাকাটাই না পাই। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক।’

সাফে অংশ নেওয়া নেপাল দলের সঙ্গে বর্তমানে ঢাকায় আছেন কৃষ্ণা। আশির দশকে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ঢাকার মাঠে খেলেছেন কৃষ্ণা। তখন তাঁর সতীর্থ ছিলেন বর্তমান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। একে তো পুরোনো সতীর্থ এবং দ্বিতীয়ত, পাওনার বিষয়ে সালাউদ্দীনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ‘হাই-হ্যালো’ বলেই বিদায় জানিয়েছেন কৃষ্ণাকে। এ নিয়ে আফসোস ঝরল নেপাল ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতির কণ্ঠে।

তবে নেপালের পাওনা টাকা বিষয়টি গতকাল অস্বীকার করেছেন কাজী সালাউদ্দীন। তিনি পাওনা টাকার প্রশ্নকে ‘রাবিশ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু উড়িয়ে দিতে চাইলেই তো উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছয় জাতি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। সেখানে ‘এ’ গ্রুপে তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে আছে নেপাল। শেষ মুহূর্তে তারা দল না পাঠালে বিতর্কিত হবে টুর্নামেন্টটি। অবশ্য কলঙ্কের আর বাকি কোথায়! প্রাইজ মানি দেওয়া নিয়েই যে টালবাহানা করছে বাফুফে!