৫২ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট খেললেন ফুটবল

বয়স বাড়লেও ফুটবলের প্রতি টান কমেনি উইয়াহর।
বয়স বাড়লেও ফুটবলের প্রতি টান কমেনি উইয়াহর।

তাঁর জীবনে ফুটবল অতীত, জর্জ উইয়াহ এখন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। গত ডিসেম্বরে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তুখোড় এ রাজনীতিবিদই কাল নেমে গেলেন ফুটবল মাঠে। যেন তেন ম্যাচ নয়, লাইবেরিয়া জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচে! প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া যেখানে নেমেছে প্রায় পুরো শক্তির দল নিয়ে।

এই অক্টোবরের প্রথম দিনে তাঁর ৫২ বছর পূর্ণ হবে। খেলা ছেড়েছেন সেও ১৫ বছর হয়ে গেছে। তবুও ফুটবলের প্রতি ভীষণ টান। রাজধানী মনরোভিয়ায় ম্যাচটির আয়োজন ছিল তাঁরই সম্মানে। লাইবেরিয়ার হয়ে একসময় মাঠ মাতিয়েছেন ১৪ নম্বর জার্সি পরে। সেই জার্সিটিই চিরতরে তুলে রাখতে পরশুর এই আয়োজন। তখন কে জানত, স্বয়ং উইয়াহই জার্সিটা গায়ে গলিয়ে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী নিয়ে নেমে যাবেন, ক্ষণিকের জন্য ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন অতীতে!

পুরোনো দিনের ছোঁয়া দিয়ে গেছে ম্যাচের আগে, ম্যাচজুড়ে বল পায়ে তাঁর কিছু কারিকুরিও। এখন পর্যন্ত বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতা (১৯৯৫) একমাত্র আফ্রিকান উইয়াহর বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওজন বেড়েছে, ভারী শরীরটা নিয়ে এখন চাইলেও তো সেভাবে দৌড়ানো সম্ভব নয়। তবু ৭৯ মিনিট খেলেছেন। মাঠ ছেড়ে যখন শেষবারের মতো বিদায় নিচ্ছেন, পুরো গ্যালারি উঠে দাঁড়িয়েছে। স্টেডিয়ামজুড়ে করতালি। পুরো শক্তির নাইজেরিয়ার কাছে ম্যাচটা ২-১ গোলে হেরেছে লাইবেরিয়া, কিন্তু এমন দিনে সেটি কে ভাবে!

উইয়াহর আকস্মিক ফেরার দিনে চমকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ম্যাচও। দুটি ম্যাচের সময়ের হিসাবে একটু হেরফের আছে, কিন্তু টেনেসির ন্যাশভিলে মেক্সিকোর বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতেও ছিলেন এক উইয়াহ—টিমোথি, জর্জ উইয়াহরই ছেলে! জন্ম নিউইয়র্কে, টিমোথির যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলেন। গত মার্চেই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের। পরশু অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ১-০ গোলে জিতলেও তেমন কিছু করতে পারেননি উইয়াহ-তনয়।