প্রথম ক্লাব হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করবে পিএসজি

ফুটবলে ক্রিপ্টোকারেন্সি আনছে পিএসজি। ছবি: এএফপি
ফুটবলে ক্রিপ্টোকারেন্সি আনছে পিএসজি। ছবি: এএফপি

দলের স্ট্রাইকার গোল পাচ্ছেন না। কোচের পছন্দের গোলরক্ষকও একের পর এক ভুল করছে আর দলও এর খেসারত দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে হাজার চিৎকার আর দোষারোপেও কাজ হয় না তখন। কারণ সমর্থকদের এমন সব কথাবার্তায় কান দেয় না কোনো ক্লাবই। তবে প্যারিস সেন্ট জার্মেই সমর্থকদের সে সুযোগ করে দিচ্ছে। ক্লাবের সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখন ভূমিকা রাখতে পারবেন সমর্থকেরা!

বিশ্বের প্রথম ক্লাব হিসেবে নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসজি। ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো আর্থিক লেনদেনের এক ধরনের ডিজিটাল পদ্ধতি, যেখানে লেনদের সকল তথ্য গোপন সংকেতের মাধ্যমে লুকানো থাকে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য অন্য কেউ জানতে পারে না। সোসিওসডটকম নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে পিএসজি। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে সমর্থকেরা ক্লাবের নেওয়া বিভিন্ন জরিপে অংশ নিতে পারবেন। যেখানে ক্লাবের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে।

পিএসজি আরও জানিয়েছে, এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে সমর্থক দল না না পুরস্কার ও সুবিধা পাবেন ক্লাব থেকে। সমর্থকদের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্ক বাড়ানো ও ব্যবসাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসজি। এ পদ্ধতিতে সব লেনদেনই হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। সুরক্ষিত , স্বচ্ছ লেনদেনের সঙ্গে সমর্থকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা মেশানোর সুযোগ দেবে এ পদ্ধতি। পিএসজির স্পনসরশিপ বিভাগের প্রধান মার্ক আর্মস্ট্রং জানান, ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনে সব সময় এগিয়ে থাকে পিএসজি। তাই পিএসজি চায় ক্রিপ্টোকারেন্সি যে সুযোগ এনে দিচ্ছে, তার পুরো সদ্ব্যবহার করতে। এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি ক্লাবের পুরো ব্যবসায়িকনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগেও ভূমিকা রাখবে।’

পিএসজির এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখছে সোসিওসডটকম ব্লক চেইন। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার ড্রেফুস আধুনিক এই প্রযুক্তির সঙ্গে ফুটবল বিশ্বকে পরিচয় দেওয়ায় পিএসজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘সোসিওসডটকম ব্লক চেইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের এ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রথম ক্লাব হিসেবে পিএসজিকে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। পিএসজি শুধু মাঠেই বড় শক্তি নয়, ডিজিটাল জগতেও পথ প্রদর্শক ওরা। উদ্ভাবনী আবিষ্কারে ওদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা এবারও প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের প্রথম ক্লাব হিসেবে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে তারা।’