'পাত্তা না দেওয়া' ভারতকে ধাক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ

পাত্তা না দেওয়া’ ভারতকে ধাক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ
পাত্তা না দেওয়া’ ভারতকে ধাক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। সাফে এটি তাঁদের দ্বিতীয় শিরোপা।


ভারতের অহংয়ে কি একটু ধাক্কা লাগল? দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের ‘পরাশক্তি’ হয়ে ওঠা ভারতের কাছে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ যেন শুধুই নিয়ম রক্ষার! সিনিয়র ফুটবলারদের বিশ্রামে রেখে অনূর্ধ্ব–২৩ দলকে ‘জাতীয় দল’ নাম দিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন ভারতের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের। টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে সেমিফাইনালে ম্যাচ–পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলেনেও গরহাজির ছিলেন ভারতীয় এই কোচ। মালদ্বীপের কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা খুইয়ে একটু যেন ধাক্কাই খেলেন তাঁরা।

২০০৮ সালে ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে প্রথম সাফ শিরোপা জিতেছিল মালদ্বীপ। ১০ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেল সেই ভারতকে হারিয়েই। অথচ গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাচ্ছিল দ্বীপ রাষ্ট্রটি। ভাগ্য সহায় ছিল, টস জিতে সেমিফাইনাল খেলেছে তারা। আর অবশেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন।

কনস্ট্যানটাইনের মতো সাহস দেখিয়েছিলেন মালদ্বীপ কোচ পিটার সিগ্রেটও। আলি আশফাকের মতো তারকা ফুটবলারকে দল থেকে বাদ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। তারুণ্যের ঝান্ডা উড়িয়ে ভবিষ্যতের জন্য দল গড়ার দিকেই নজর ছিল এই জার্মান কোচের। গ্রুপ পর্বে তারুণ্যের শক্তি জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। কিন্তু সেমিফাইনালে থেকে বদলে যেতে শুরু করে পিটারের শিষ্যরা।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ভারতকেও আজ পাত্তা দেয়নি তারা। প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটেই ইব্রাহিম মাহুদির গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। গোল হজমের পরও কখনোই সমতায় ফেরার মতো খেলতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে ২-০ করে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই দেয় ভারতকে। শেষ দিকে ব্যবধান ২-১ করেন সুমিত পাসি।