সিনিয়রদের স্বস্তি দিতেও তরুণদের ভালো খেলা উচিত

বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফি। ছবি: এএফপি
বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মাশরাফি। ছবি: এএফপি
>শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৭ রানের জয়ের পর মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে তরুণদের ভালো খেলার আহ্বান

ডান হাতে চোট নিয়ে খেলতে হয়েছে তামিমকে, পরে চোট পেলেন বাঁ হাতে। পুরো ফিট নন বলে খেলতে নিমরাজি ছিলেন সাকিব। পাঁজরের ব্যথা নিয়ে কাল খেলেছেন মুশফিক। দল এখনো পুরোপুরি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভরশীল। তামিম চোট পেয়ে বেরিয়ে গেছেন, বিকল্প নেই। সামনে বিশ্বকাপ, সিনিয়রদের ওপর চাপ কমানোর জন্য হলেও তো তরুণদের এগিয়ে আসা দরকার। কাল ম্যাচ শেষে এই আহ্বান জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

এশিয়া কাপের শুরুর দিনে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াই উৎসাহ জোগাচ্ছে তাঁকে। তাঁর মতে, ‘বাকি ম্যাচগুলোয় মিঠুনের মতো কেউ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে দল হিসেবে আমাদের জন্য ভালো হবে। তামিম যদি খেলতে না পারে, তাহলে স্কোয়াডে অন্য যারা তরুণ আছে, তাদের জন্য খুব ভালো সুযোগ এটি।’

মুশফিকুর রহিমের ইনিংসটিকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংসই মনে করেন মাশরাফি, ‘সে খুবই চাপের মুখে খেলতে নেমেছিল। দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। আমি মনে করি, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা ইনিংস। তামিমও ব্যাট করতে পারছিল না। এমন একটা সময় সে যেভাবে ইনিংসটা শেষ করেছে, সেটি দুর্দান্ত। মিথুনও দারুণভাবে চাপ সামলেছে।’

তামিমের প্রতি মুগ্ধতার শেষ নেই মাশরাফির, ‘মাঠে নামার সিদ্ধান্তটা ওরই ছিল। কেবল এই ম্যাচটির জন্যই তামিমকে মনে রাখা উচিত। এখানে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারত। ওর ক্যারিয়ারের ব্যাপার ছিল এখানে। আমি মনে করি, সবার মনে রাখা উচিত। তামিমকে বাহবা জানাই, ওই সময় সে ব্যাটিংয়ে গিয়েছিল।’

তামিমের সেই সাহসিকতা সেঞ্চুরি করে এক প্রান্ত আগলে রাখা মুশফিককেও অনুপ্রাণিত করেছে বলে মত মাশরাফির। সেঞ্চুরি করলেও তামিম নামার পর মুশফিকের আত্মবিশ্বাসী ৩২ রান মাশরাফির দৃষ্টিতে ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ‘তামিম ওই সময় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বলেই মুশফিক আত্মবিশ্বাস পেয়েছিল ওই ৩০-৩২ রান করার জন্য। মুশফিক যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। তার ইনিংসটা না হলে ম্যাচটা হয়তো অন্য রকম হতে পারত।’

এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলোতে তামিমকে পাওয়া না গেলে সেটি বড় ধাক্কা হবে বলেও মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘তামিমের আরও একবার স্ক্যান করাতে হবে। এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। যদি আমরা ওকে না পাই, তাহলে সেটি অবশ্যই বড় এক ধাক্কা হবে। দেখা যাক কী হয়! সে এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েনি। আমাদের আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে, তামিমের হাতে আরও একবার স্ক্যান করাতে হবে। ছোট চিড় আছে, এটা নিশ্চিত। এখন আমাদের দেখতে হবে চোটটা কতটা খারাপ।’