বিশ্বকাপের খেলোয়াড়কে তৃপ্তি দিচ্ছে বাংলাদেশ
রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকান স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ঢাকায় পা রেখেছেন বুধবার। ইতিমধ্যে বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে নেমে পড়েছেন অনুশীলনেও। তবে আজই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়েছিল রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা এই স্ট্রাইকারকে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকা স্কোয়াডে শুধু নামই ছিল না কলিন্দ্রেসের। সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মোট ৯৮ মিনিট মাঠে ছিলেন। তাই আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমন খেলোয়াড়কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু ছিল না তাঁর ক্লাব বসুন্ধরার। বরং সবার জানার আগ্রহ ছিল বাংলাদেশে কেমন লাগছে ৩৩ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের?
বিশ্বকাপে খেলা এক ফুটবলার ঢাকায় অবস্থান করছেন। আর তাঁর প্রতি আশপাশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি একটু অন্যরকম হবে না, তা কী হয়! তাই নিজেকে বিশেষ কেউ মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরার এই স্ট্রাইকার, ‘এটি একটি ভিন্ন শহর। যা শান্ত ও গরম। মানুষ সব সময় আমার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। সবাই হাই-হ্যালো বলছেন। এখানে এসে আমি খুবই তৃপ্ত।’
কলিন্দ্রেসই যে প্রথম ঢাকার মাঠে বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার, তা নয়। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার টাটকা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ফুটবলার দলে ভিড়িয়ে হইচই-ই ফেলে দিয়েছে নবাগত বসুন্ধরা। কিন্তু একজন বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার কেন ১৯৪ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাংলাদেশের লিগ বেছে নেবেন খেলার জন্য, এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। সে উত্তরটাও দিয়েছেন কলিন্দ্রেস, ‘এখানে থেকে প্রস্তাব পাওয়ার আগে দক্ষিণ আমেরিকান একটি ক্লাব ও ভারতীয় এক ক্লাবের প্রস্তাব ছিল আমার কাছে। কিন্তু আমি যখন ব্রুজেন (বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ) এবং ক্লাবের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলি, তারা আমাকে সবকিছু দিতেই সম্মত হয়।’
এসেই যখন পড়া, তখন তো নিজেকে বিশেষ একজন হিসেবেই প্রমাণ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে সে চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন কলিন্দ্রেস, ‘আমি এখানে অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। যা আমাকে পূরণ করতে হবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি সেরাটা দেওয়ার।’
২১ সেপ্টেম্বরই তাঁকে প্রথম পরীক্ষা দিতে হবে নীলফামারীতে। সেখানে মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন নিউ রেডিয়ান্টের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বসুন্ধরা।