চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ

>
বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য গতকাল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: প্রথম আলো
বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য গতকাল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: প্রথম আলো

এএফসি অনূর্ধ্ব–১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ডামাডোলের মধ্যেই শনিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব–১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব। দুদিন পেরিয়ে গেলেও আজই প্রথম মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের প্রথম বাধা বাহরাইন। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বেলা সাড়ে তিনটায়।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশ ১১২তম স্থানে। বাহরাইন ৮০তম। কিন্তু লড়াইটা যখন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়, ৩২ ধাপ পেছনে থাকা বাংলাদেশকেই ধরা হচ্ছে ফেবারিট। প্রথম পরীক্ষায় নামার আগে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও আত্মবিশ্বাসী, ‘ম্যাচের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই খেলবে মেয়েরা, জয়ের জন্যই মাঠে নামবে।’

মেয়েদের ফুটবলে এই প্রথম বাহরাইনের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত পরশু বাছাইপর্বের শুরুর দিনই যারা ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লেবাননের কাছে। পরশু মাঠে বসে লেবানন-বাহরাইন ম্যাচ দেখে তাদের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণাও নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। তারপরও বাহরাইনকে বেশ সমীহ করছেন তিনি, ‘বাহরাইনকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

গত এপ্রিলে দুবাইয়ে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে ছয় দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিল বাহরাইন। এর বাইরে মাত্র দুই মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় এসেছে দলটি। প্রস্তুতির বিচারে এদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। সারা বছরই মেয়েরা অনুশীলনের ওপরে থাকে। এর মধ্যে এক বছরের ব্যবধানে মেয়েরা খেলেছে দুটি অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ ফুটবল ও হংকংয়ে জকি কাপ। একটিতে রানার্সআপ হলেও দুটিতে হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ফলে দলের সব খেলোয়াড়েরই আছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা। বড় মঞ্চে এর আগেও জ্বলে উঠেছে যে মেয়েরা। তহুরা-মণিকারা আজ থেকে আবারও সামর্থ্যের সেই ঝলক দেখাতে প্রস্তুত।

২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই অনূর্ধ্ব–১৬ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ। গতবারের চেয়ে এবার দলসংখ্যা বেড়েছে বাছাইপর্বে। তাই গত আসরের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ দলকে খেলতে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। প্রথম ম্যাচ থেকেই তাই কোচ পা ফেলতে চাইছেন হিসেব কষে, ‘এখন আমাদের প্রতিটি জিনিসের চুলচেরা হিসাব করে এগোতে হবে। আমাদের জিততে হবে, পাশাপাশি গোলব্যবধানও বাড়িয়ে নিতে হবে।’