৮-০ গোলে জেতার পরেও আফসোস!

>
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ১২-০ গোলে জেতাটা বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব ছিল না।
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ১২-০ গোলে জেতাটা বাংলাদেশের জন্য অসম্ভব ছিল না।
মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ১০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ কমলাপুরের শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে লেবাননকে হারিয়েছে ৮-০ গোলে।

ম্যাচ শেষে একটি কথাই ভেসে বেড়াল কমলাপুরের শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে-আর কত গোলে জিততে পারত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে দিতে প্রত্যাশাটা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে দাঁড়িয়ে এসব আলোচনা হতেই পারে! নয়তো আজ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইয়ে লেবাননকে ৮-০ গোলে হারানোর পরেও দর্শকেরা পুরোপুরি তৃপ্ত হবেন না কেন!

তৃপ্ত না হওয়ার কারণ আছে। সাজেদা, তহুরা, শামসুন্নাহার জুনিয়ররা যেভাবে একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে, সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ১২-০ গোলে জেতাটা অসম্ভব কিছু ছিল না। তিনজনের নামের পাশেই হ্যাটট্রিক থাকতে পারত। তবে গোল তারা পেয়েছেন। সুযোগ নষ্ট করেও তিনজনই জোড়া গোল পেয়েছেন। একটি করে গোল করেছেন আনাই মোগিনি ও রোজিনা আকতার।

অথচ লেবাননের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করা হয়েছিল। কারণ নিজেদের প্রথম ম্যাচে যে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে বাংলাদেশ হারিয়েছে, সেই বাহরাইনকেই লেবানন হারিয়েছিল ৮-০ গোলে। কিন্তু কিসের লড়াই! লেবানন একবারও মাথা তুলেই তাকাতে পারল না বাংলাদেশের পোস্টের দিকে। রোদের তাপে হাঁসফাঁস করতে করতেই যে ম্যাচ শেষ। বারবার সাইড লাইনে এসে মাথা ও ঘাড়ে পানি দিতে হলে প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবার সময় কোথায়!

প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি তিনটি। একের পর এক সহজ গোল মিস করা সাজেদার গোলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০ মিনিটের সময় সাজেদার বাড়ানো বল থেকে ২-০ করে ফেলে তহুরা খাতুন। তিন মিনিট পরেই আবার তহুরার গোল। আঁখি খাতুনের এরিয়াল থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দূরে পোস্ট দিয়ে ৩-০ করেছে এই ফরোয়ার্ড। চার মিনিট পরেই যেন আগের গোলের পুনরাবৃত্তি। শুধু ফরোয়ার্ড তহুররার জায়গায় রাইটব্যাক আনাই মোগিনি। আঁখির এরিয়াল থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে প্রবেশ করেই দূরের পোস্টে প্লেসিং। ৪০ মিনিটে আবারও নিচ থেকে গোল করিয়েছেন ডিফেন্ডার আঁখি। তাঁর বাড়ানো বল থেকে ৫-০ করেছেন সাজেদা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোল -৬-০। ৬৩ মিনিটে ৭-০ করেছেন শামসুন্নাহারই। ১২ মিনিট পরে ৮-০ করেছেন বদলি রোজিনা আক্তার।

এই জয়ের ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আর গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শির্ষে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট লেবাননের। এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই অনূর্ধ্ব-১৬ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ। গতবারের চেয়ে এবার বাছাইপর্বে দলসংখ্যা বাড়ার কারণে তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ দলকে খেলতে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।