ভুলে যাওয়া জাদেজাই ব্যাটিং ভুলিয়ে দিলেন সাকিবদের

প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চটাই দিলেন জাদেজা। ছবি: এএফপি
প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চটাই দিলেন জাদেজা। ছবি: এএফপি
>৪৪২ দিন পর ওয়ানডে দলে ফিরেই ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

কত দিন পর ভারতীয় দলের জার্সিতে আজ ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন রবীন্দ্র জাদেজা? ৪৪২ দিন পর। সেই যে ২০১৭ সালের ৬ জুলাই সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে শেষবার ওয়ানডে খেলেছিলেন। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের কারণে দলে ঢোকার কোনো সম্ভাবনাও ছিল না। এর ৪৪২ দিন পর দলে জায়গা পেলেন আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে। এত দিনে জাদেজাকে তো ভুলে যাওয়ারই কথা! অথচ তাঁর স্পিনের জবাবই দিতে পারলেন না সাকিবরা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ।

আজও হয়তো বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামা হতো না জাদেজার! হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে শেষ মুহূর্তে একাদশে আসেন এই অলরাউন্ডার। আর ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলেন কীভাবে? ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৯ রান। এর বিনিময়ে তুলেছেন ৪ উইকেট। তাঁর শিকার তালিকায় থাকা নামগুলোও দেখুন—সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন।

দুবাই স্টেডিয়ামে জাদেজা যেন হয়ে উঠেছিলেন সাকিব, মুশফিকদের কাছে বড় এক ধাঁধার নাম। তাঁর স্পিনের জবাব নেই কারও ব্যাটেই। না হলে কি আর তাঁর ৪৩ বলই ডট দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা? দশম ওভারে জাদেজার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুটি চার মেরে সাকিব বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, জাদেজাকে কেন দলের বাইরে রাখে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ধোনির এক টোটকায় স্কয়ার লেগে শিখর ধাওয়ানকে ফিল্ডিংয়ে সরিয়ে সাকিবকে ফাঁদে ফেলে উইকেট নেওয়া শুরু হয় তাঁর। এরপর তাঁর শিকার মিঠুন।

জাদেজার করা ১৪তম ওভারে একবার লেগ বিফোর থেকে বেঁচে গেছেন মিঠুন। ব্যাটের আগে পা যাওয়ার প্রবণতা থাকায় বলটা তাঁর প্যাডে লেগেছিল আগে। আম্পায়ার সাড়া দেননি আর জাদেজাও রিভিউ নেননি। পরে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, রিভিউ নিলে ওটা আউট। মিঠুন এ থেকে শিক্ষা নেননি। আউট হয়েছেন ঠিক একই ডেলিভারিতে। মুশফিক আউট হয়েছেন জাদেজার সঙ্গে ধৈর্যের খেলায় হার মেনে। টানা ডট বল খেলতে খেলতে অস্থির হয়ে পড়ে রিভার্স সুইপ খেলার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তাঁকে ফিরতে হলো ক্যাচ তুলে। জাদেজার শেষ শিকার মোসাদ্দেকও ফিরেছেন সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ব্যস, ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেরা পারফরম্যান্স।

প্রত্যাবর্তনের গল্প এভাবেই লিখতে হয়!