রোনালদো থেকে সর্বোচ্চটাই নিয়েছে রিয়াল

রিয়ালের জার্সিতে রোনালদোর জেতা সর্বশেষ ট্রফি। ফাইল ছবি
রিয়ালের জার্সিতে রোনালদোর জেতা সর্বশেষ ট্রফি। ফাইল ছবি
>রোনালদোকে বিক্রি করে রিয়াল মাদ্রিদ সর্বোচ্চ অর্থ পেয়েছে বলে মনে করেন সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ

প্রায় দুই মাস হলো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইতিমধ্যে ইতালিয়ান ক্লাবটির জার্সি গায়ে সিরি ‘আ’ তে খেলেছেন চারটি ম্যাচ, বাদ নেই চ্যাম্পিয়নস লিগও। তবু স্পেন ছেড়ে ইতালিতে কেন পাড়ি জমালেন রোনালদো, কেন তাঁকে বিক্রি করে দিল রিয়াল মাদ্রিদ—এ প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছে অনেকে।

রোনালদোর রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া নিয়ে কথা বলেননি, ফুটবলসংশ্লিষ্ট এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়ায় মুশকিল। তাঁদের মাঝেও একজন বাকি ছিলেন—রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, যিনি প্রায় নয় বছর আগলে রেখেছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজকে। আর শেষ পর্যন্ত সেই পেরেজই রোনালদোর মতো বিশ্বসেরা তারকাকে বিক্রি করতে কোনো কার্পণ্য করেননি। কিন্তু কেন?

রোনালদোর কাছ থেকে নাকি যা পাওয়ার তার সর্বোচ্চটাই পেয়েছে রিয়াল। এ কারণেই মায়া ত্যাগ করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পেরেজ। রোনালদোর রিলিজ ক্লজ ছিল ১০০০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু জুভেন্টাসের কাছে বিক্রি করার আগে রোনালদোর রিলিজ ক্লজ কমিয়ে করা হয় ১০০ মিলিয়ন ইউরো। রিলিজ ক্লজের এত কমে রোনালদোকে ছেড়ে দেওয়ার কারণটা জানাচ্ছেন পেরেজ, ‘রিলিজ ক্লজ কখনোই বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ঠিক করা হয় না। এটা রাখা হয় বিক্রি করার সময় আলোচনার সুবিধার্থে। আমরা তাকে বিক্রি করতে চাইনি। কিন্তু সে ব্যক্তিগত কারণে যেতে চেয়েছিল এবং আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। আমাদের জন্য সে অনেক কিছু করেছে তবু তার জন্য আমাদের দরজা খুলে দিতে হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চটাই পেয়েছি (দলবদল মূল্য)।’

পেরেজ এখানে শুধু দলবদলের অঙ্কের কথা বললেও, রোনালদোর কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকুই নিয়েছে রিয়াল। ২০০৯-১০ মৌসুমে রেকর্ড ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রোনালদোকে দলে ভিড়িয়েছিল স্প্যানিশ দৈত্যরা। তারপর লস ব্লাঙ্কোদের হয়ে অবিশ্বাস্য ফুটবল দেখিয়েছেন বিশ্বকে। রিয়াল মাদ্রিদকে চারবার এনে দিয়েছেন ইউরোপসেরার মুকুট চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। দুটি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে, দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও জিতেছেন। রিয়ালের জার্সিতে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০ গোল এনে দিয়ে জিতেছেন চারটি ব্যালন ডি'অর।