মেসির এই পরিবর্তন চোখে পড়েছে আপনার?

লিওনেল মেসির দাড়ি নেই! কালকের ম্যাচের ছবি: এএফপি
লিওনেল মেসির দাড়ি নেই! কালকের ম্যাচের ছবি: এএফপি
>২০১৫ সাল থেকে দাড়ি রাখছিলেন লিওনেল মেসি। তিন বছর পর দাড়ি কেটে ফেললেন। মেসির দাড়ি রাখার পেছনে অনেক খবর-গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এ কারণেই দাড়ি কেটে ফেলা নিয়েও কৌতূহল

কী ব্যাপার, জেরার্ড পিককে দেখতে এত কম বয়সী লাগছে কেন? পিকে যেন ফিরে গেছেন তাঁর টিনএজ সময়ে! ভালো করে খেয়াল করতেই চোখে পড়ল, শুধু পিকে নয়, লিওনেল মেসিকেও যেন একটু কম বয়সী লাগছে। এরপরই বোঝা গেল ব্যাপারটা। পিকে-মেসি দুজনই দাড়ি কেটে খেলতে নেমেছেন। ২০১৫ সাল থেকে শখের দাড়ি রাখতে শুরু করেছিলেন মেসি। সর্বশেষ যেবার ট্রেবল জিতেছিলেন বার্সেলোনার হয়ে। এর তিন বছর পরে এসে দাড়ি কেটে ফেললেন মেসি। পিএসজভির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন যে ম্যাচে, সেই ম্যাচেও শ্মশ্রুমণ্ডিত গাল দেখা গেছে তাঁর। কিন্তু গতকাল জিরোনার বিপক্ষে ম্যাচে দেখা গেল নতুন চেহারায়। তাতে মেসি গোল করেছেন। যদিও তাঁর দল ১০ জনে রূপ নিয়ে ২-২ ড্র করেছে।

জিরোনার মতো দলের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার পিছিয়ে থেকে ড্র করা অবশ্যই আলোচনার। তবে সেই আলোচনাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মেসির দাড়ি। পিএসভি ম্যাচের পরই মেসি তিন বছরের সঙ্গীকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এই তিন বছরে মেসির দাড়ির আকৃতি নানা চেহারা নিয়েছে। কখনো মৌচাকের মতো নাতিদীর্ঘ হয়েছে। কখনো হালকা ছেঁটে ছোট করেছেন। কিন্তু দাড়ি একেবারেই কামিয়ে ফেলেননি।

এমনও শোনা গিয়েছিল, মেসির এই দাড়ি রাখার পেছনে নাকি আছে আর্জেন্টিনার হয়ে তাঁর সাফল্য না-পাওয়া। ২০১৫ কোপা আমেরিকায় ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে মেসি অনেকটা মানত করেই নাকি দাড়ি রেখেছিলেন। সাফল্য না পাওয়া পর্যন্ত দাড়ি কাটবেন না। যদিও এ নিয়ে তিনি নিজে কিছু বলেননি, তবে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারটি যে এসব সংস্কারে বিশ্বাস করেন, তার প্রমাণ মিলেছে গত বিশ্বকাপে। আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিকের মায়ের দেওয়া লাল সুতো পায়ে বেঁধেছিলেন মেসি। এমনকি বিশ্বকাপের পরও সেই লাল সুতো তাঁর পায়ে দেখা গেছে।

আগের ম্যাচেও দাড়ি ছিল মেসি ও পিকের। দুজনই কেটে ফেলেছেন দাড়ি। ছবি: এএফপি
আগের ম্যাচেও দাড়ি ছিল মেসি ও পিকের। দুজনই কেটে ফেলেছেন দাড়ি। ছবি: এএফপি

মেসির দাড়ি রাখার পেছনের কারণটি যা-ই হোক না কেন, আপাতত নিজেকে হাজির করেছেন নতুন চেহারায়। নতুন মিশনেই হয়তো। এটা সত্যি, হঠাৎ করে দাড়ি কেটেছেন বলে বয়সও একটু কম লাগছে। সত্যি বলতে কি, কাল মেসির খেলায় মাঝে মধ্যে ফিরে আসছিল সেই তারুণ্যভরা সময়ের কিছু ঝলক। একাই বল টেনে নিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। গোলও পেয়েছেন। কিন্তু বার্সা ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ত লেঙ্গলেট অহেতুক কনুই মেরে লাল কার্ড দেখে সর্বনাশ করেছেন মেসির, সর্বনাশ করেছেন দলের। প্রায় ৬০ মিনিট ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয়েছে বার্সাকে। জিরোনা এর পুরোটাই উশুল করে নিয়েছে। ২-১ গোলে এগিয়েও গিয়েছিল। পরে জেরার্ড পিকের গোল সমতায় ফিরিয়েছে বার্সাকে। যদিও বার্সা শেষ পর্যন্ত ২ পয়েন্ট হাতছাড়া করতে বাধ্য হয়েছে। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বার্সার পয়েন্টও এখন হয়ে গেল সমান।

যে দুজন দাড়ি কেটে নেমেছেন, মেসি-পিকে দুজনই গোল পেয়েছেন। তবে দল তো জেতেনি! এ সৌভাগ্য, নাকি অলক্ষুনে কিছুর আভাস? সে যা-ই হোক, মেসির দাড়ি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের মধ্যে বেশ আলোচনা চলছে দেখা যাচ্ছে।