আজও কি ৬ নম্বরে ইমরুল?

রশিদকে ঠেকিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইমরুল। ছবি: এএফপি
রশিদকে ঠেকিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইমরুল। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ নম্বরে খেলে সাফল্য পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও কি ৬ নম্বরেই নামবেন তিনি?

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচের আগের দিন রাতে আমিরাতে এসে পৌঁছেছিলেন ইমরুল কায়েস। সঙ্গে সৌম্য সরকার। পরদিন দুপুরেই তাঁকে মাঠে নেমে যেতে হয়েছে ন্যূনতম মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি ছাড়া। এমনিতেই টুর্নামেন্টের মাঝখানে তাদের দলে ঢোকার প্রক্রিয়াটা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছিল। মাঠে নেমে সেই সমালোচনার জবাব দেওয়ার একটা তাড়না অবশ্যই ছিল, সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল আবুধাবির প্রচণ্ড গরম।

এমন বৈরী পরিস্থিতিতেই ইমরুলকে খেলতে হলো কিনা ৬ নম্বরে! তাঁর জন্য রীতিমতো অনভ্যস্ত এক জায়গা। কিন্তু তাতে কি, সেই অনভ্যস্ত জায়গাতে কী ব্যাটিংটাই করলেন তিনি। অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত্তি গড়লেন। সেই সঙ্গে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন রশিদ খানকে ঘিরে গড়ে ওঠা জুজুটা। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেক ‘খানে’র বিষয় মাথায় রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ইমরুল কি আজও আফগানিস্তান ম্যাচের মতোই ছয় নম্বরে ব্যাটিং করে আরেক ‘খান’ শাদাবকে নিয়ে শঙ্কা কাটাতে ভূমিকা রাখবেন?

রশিদের মতোই শাদাবের গুগলি ইদানীং বিভ্রান্ত করেছে ক্রিকেট দুনিয়াকে। ইমরুল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে গুগলি খেলার যে কৌশল দেখিয়েছেন, তাতে আশাবাদী হতেই পারে বাংলাদেশ। রশিদের ভিডিও বিশ্লেষণ করে সেদিন ফল পেয়েছিলেন। শাদাবকে নিয়ে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টের আলাদা পরিকল্পনার অন্যতম অস্ত্র যে ইমরুল সেটি বলে দেওয়াই যায়।

শাদাবকে নিয়ে ইমরুল যে প্রস্তুত সেটি আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেই জানিয়েছিলেন, ‘শাদাব খানকে আমি আগে খেলেছি। ওর বলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে আউটও হয়েছিলাম। সে খুবই দুর্দান্ত বোলার। তবে বিশ্বের এখনকার ভয়ংকর লেগ স্পিনার রশিদ। ওর বল খেলা কঠিন। শাদাব অবশ্যই ভালো, কিন্তু ওর গ্রিপিং গুলো বোঝা যায়। আগে থেকে বোঝা যায় কোনটা গুগলি কোনটা লেগ স্পিন।’

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শাদাবের রেকর্ড যথেষ্ট ভালো। সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তাঁর উইকেটসংখ্যা ১৪টি। এবারের এশিয়া কাপে  তিন ম্যাচে তাঁর উইকেট ৩টি। ২৫ ওয়ানডেতে ২৬ গড়ে ৩৬ উইকেট বেশ ভালো। তাই শাদাবকে নিয়ে আলাদাভাবে সতর্ক হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে বাংলাদেশের। রশিদকে নিয়ে ইমরুল যে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাতে করে শাদাবকে ঠেকাতেও তাঁর সেই শিক্ষা বাংলাদেশ আজ কাজে লাগাতেই চাইবে।
আফগান ম্যাচের পর ইমরুলের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই, সেটি না বললেও চলছে। এখন অপেক্ষা কেবল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।