'সবকিছু প্রতিকূলে এটিই বাংলাদেশের শক্তি'

সব প্রতিকূলতা জয় করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জেতার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার

আবারও এশিয়া কাপের ফাইনাল, প্রতিপক্ষ আবারও সেই ভারত। তাই ঘুরে ফিরে আসছে পুরোনো স্বপ্নভঙ্গের জ্বালা। নক আউট ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভারত মানেই যেন স্বপ্নভঙ্গের দুঃসহ স্মৃতি। আজও বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেবারিট ভারত! সাম্প্রতিক ফর্ম, রেকর্ড সবকিছু বিচার করলে ব্যাপারটি তা-ই। আবার বাংলাদেশ শিবিরে চোট ও ফাইনালে নামার আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় ব্যাপারটি তো আছেই। সব মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে খাতা-কলমের বিচারে বাংলাদেশ যে পিছিয়ে থাকছে, সেটিই জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, হালে অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার।

চোটজর্জর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের না থাকাটা। এই একটি জায়গাতেই মানসিকভাবে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে অনেকটাই, ‘আমরা বেশ সমস্যায় আছি ফিটনেস নিয়ে। আমাদের নিয়মিত দুজন খেলোয়াড় নেই। টানা সূচির মধ্যে কোনো বিশ্রাম নেই। সবকিছুই আমাদের বিরুদ্ধে।’

তবে এতসব প্রতিকূল ব্যাপার-স্যাপারকেই বাংলাদেশের প্রেরণা মনে করেন হাবিবুল, ‘আমি মনে করি এই বিষয়গুলোই আমাদের খেলোয়াড়দের বেশি অনুপ্রেরণা দেবে। আর এত নেতিবাচক বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশকে খুবই উজ্জীবিত লাগছে। শুধু চাইব দিনটা যেন ভালো যায়।’

বাংলাদেশের প্রতিকূলেই আজ সবকিছু। হাবিবুল বাশারের মতে এটিই আমাদের বড় শক্তি। ছবি: প্রথম আলো
বাংলাদেশের প্রতিকূলেই আজ সবকিছু। হাবিবুল বাশারের মতে এটিই আমাদের বড় শক্তি। ছবি: প্রথম আলো

হাবিবুলের নেতৃত্বে ভারতকে একাধিকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে ঢাকায় আর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর স্মৃতি হাবিবুলকে সব সময় অন্যরকম তৃপ্তিই দেয়। ভারতকে হারানোর ‘টোটকা’ও তাই ভালোই জানা তাঁর। সে নিরিখে হাবিবুলের পরামর্শ সোজা-সাপটাই, ‘ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। বিশেষ করে রোহিত শর্মা আমাদের সঙ্গে একটু বেশিই ভালো খেলে। ম্যাচটা ধীরে ধীরে হাতের নাগালে বাইরে নিয়ে যায়। আমার মনে হয় আজকের খেলার মূল শর্ত দুজনকে বেশি রান করতে না দেওয়া। এই কাজটা যদি করতে পারি আমাদের সুযোগ আছে। ভারতের মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি নেই। শুধু ধোনিই আছে। আর এখন ধোনিও আগের মতো বিধ্বংসী নয়।’

দুশ্চিন্তা ম্যাচটা ফাইনাল বলেই। সর্বশেষ চারটি এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের এটি তৃতীয় ফাইনাল। বাংলাদেশের জন্য ফাইনাল মানেই স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা। দুই বছর আগের এশিয়া কাপ ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। সেই ফাইনালে ভারত বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয়নি। ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালটা হয়ে আছে আরও দুঃসহ স্মৃতি হয়ে। পাকিস্তানের কাছে ২ রানের হারটা এখনো ভুলতে পারেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা সেই ফাইনালের তিনজন এবারও আছেন। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজে। এশিয়া কাপের বাইরেও কখনো ত্রিদেশীয় সিরিজ, কখনো বা নিদাহাস ট্রফির ‘ফাইনাল’ শুধু দুঃখই উপহার দিয়ে গেছে বাংলাদেশকে।

কিন্তু এবার দৃশ্যটা বদলাবে বলে মনে করেন হাবিবুল, ‘বারবার একই জিনিস হয় না। বারবার একই জিনিস হওয়া উচিত নয়। এবারের বাংলাদেশ অনেক উজ্জীবিত।’

আরও পড়ুন: