জাতীয় দলের দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি যুবারা

হারের পর মাঠ ছাড়লে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছবি: সৌরভ দাস
হারের পর মাঠ ছাড়লে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ছবি: সৌরভ দাস
>চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটের হারে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশের যুবারা

এক এশিয়া কাপ শেষ, আরেক এশিয়া কাপ শুরু। কাল দুবাইয়ে শেষ হলো বড়দের এশিয়া কাপ। আর চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু হয়েছে যুবদের এশিয়া কাপ। দুই এশিয়া কাপে মিল পাওয়া গেল আজ। বড়রা শেষ করেছে যে গল্প দিয়ে যুবাদের শুরু ঠিক সেখান থেকে—সেই হারের গল্পই। শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে জাতীয় দলের মতো লড়াকু মনোভাব দেখাতে পারেনি যুবারা।

চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। আজ শ্রীলঙ্কার যুবাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। ৪৬.৪ ওভারে মাত্র ১৪১ রানে অলআউট। এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে ভালোই ধাক্কা দিয়েছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ৭ ওভারের মধ্যে ২৮ রান তুলতেই লঙ্কানদের ৩ উইকেট নেই। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দ্বিতীয় বলেই ওপেনার নভোদ পারানাভিথানাকে ফিরিয়েছেন শরিফুল। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে নিপুন ধনঞ্জয়াও রান আউট হলে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সপ্তম ওভারে শরিফুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে নিশান ফার্নান্দো ফিরে গেলে চাপটা আরও ঘনীভূত হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

চতুর্থ উইকেটে ৯০ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথ দেখান নুয়ান্দু ফার্নান্দো ও পাসিন্দু সুরাইয়াবান্দারা। ৯২ বলে ৩৬ রান করে সুরাইয়াবান্দারা আউট হলেও দায়িত্ব ভোলেননি ফার্নান্দো। ওয়াল্লালাগেকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন ৭৩ বল হাতে রেখে। ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ফার্নান্দো। ৯৪ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ১ ছক্কা। ফার্নান্দর ইনিংসের আগে দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল। বিশেষ করে শুরুর স্পেলে। নতুন বলে সুইংয়ে অভ্যস্ত এই পেসার তাঁর ছয় ফুটের বেশি উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করে নেন। পঞ্চগড় থেকে উঠে আসা এই পেসারের প্রথম স্পেলে বোলিং ফিগার ৫-১-১৬-২। শেষ পর্যন্ত সেটা দাঁড়িয়েছে ৮-১-২৯-২।

বোলিংয়ে কিছুটা ধাক্কা দিলেও ব্যাটিংয়ে লড়াইটুকু করতে পারেনি যুবারা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬২ রান তুলতেই তিন টপ অর্ডারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তানজীদ হাসান (২৪), সাজিদ হোসেন (১) ও প্রান্তিক নওরোজের (৭) কাছ থেকে প্রত্যাশিত ব্যাটিংটুকু পায়নি দল। অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় (৩৫) ও শামীম হোসেন (২০) মাঝে কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা আউট হওয়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যানই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।