অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে তৈরি মাহমুদউল্লাহ

দলের যেকোনো দায়িত্ব নিতে তৈরি মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি
দলের যেকোনো দায়িত্ব নিতে তৈরি মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি
>আঙুলের চোটে প্রায় তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে। সামনে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি হোম সিরিজে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেবেন কে? গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে আপৎকালীন দায়িত্ব বর্তেছিল মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। এবারও কি সেটিই হতে যাচ্ছে?

জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব আল হাসানের চোট পাওয়ায় অধিনায়কত্বের ভার হঠাৎ পড়েছিল মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। নিদাহাস ট্রফিতে সাকিব ফিরলে শেষ হয় সাময়িক দায়িত্ব। চোটে পড়ে এবারও সাকিব নেই। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুটি হোম সিরিজে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেবেন কে? এটি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। তবে আবারও মাহমুদউল্লাহর কাঁধে নেতৃত্বের ভার ওঠার সম্ভাবনাই বেশি।

আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘ইমেগো’র আয়োজনে ‘স্পোর্টস হাব-বাংলাদেশ ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ দৈনিক প্রথম আলো’ অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ নিজেও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করতে প্রস্তুত তিনি, ‘অধিনায়কত্ব সব সময়ই পছন্দ করি। কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। খুবই সম্মানের কাজ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ থাকি। যদি এ ধরনের সুযোগ আসে, আমি তৈরি।’

অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর অবশ্য চোটমুক্ত হওয়াটা জরুরি। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পিঠে চোট পেয়েছিলেন। সেটি নিয়েই খেলেছেন সিপিএল, এশিয়া কাপ। মাহমুদউল্লাহর আশা নির্ধারিত সময়েই তিনি পারবেন ফিরতে, ‘চোট থাকবে। এগুলো নিয়ে খেলতে হবে। খেলতে খেলতে হয়তো অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। ব্যথাটা পাঁজরের দিকেও এসেছে। এই মুহূর্তে কিছুটা ভালো আছি। কিছুদিনের বিশ্রামে আছি। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফিরতে পারব।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকের নানা প্রশ্নের উত্তরে উঠে এসেছে ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর আদ্যন্ত। এক দর্শক যেমন জানতে চাইলেন, একটা সময় হতেন ‘পার্শ্বনায়ক’, এখন হয়ে ওঠেন ‘নায়ক’। এই রূপান্তর কেমন লাগে? তাঁর প্রতি যে মানুষের বিপুল প্রত্যাশা, এটা কীভাবে দেখেন? মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘এ সব তকমা নিয়ে চিন্তা করি না। শুধু কাজটাকে ভালোবাসি। পার্শ্বনায়ক থেকে নায়ক, এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি না।’

মাহমুদউল্লাহকে পুরোনো প্রশ্নটার উত্তরও দিতে হলো, বাংলাদেশের কেন বারবার তীরে এসে তরি ডোবে? কেন বারবার জয়ের কাছে এসেও জয়ের স্বাদ পাওয়া হয় না? বিশেষ করে গত তিন বছরে ভারতের বিপক্ষেই কেন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি? মাহমুদউল্লাহ বলছেন মানসিক বাধার কথা, ‘যেটা বললেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কাছে অনেক ম্যাচ হেরে গেছি। ক্রিকেটে কখনো হারবেন, কখনো জিতবেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি। মেন্টাল ব্লক থাকতে পারে, ঠিক নিশ্চিত না। তবে চেষ্টা করছি ভুলটা কোথায় হচ্ছে। এতটুকুই চিন্তা করতে পারি, আরও কিছু খেলোয়াড় আছে যারা ভালোভাবে শেষ করতে পারে। দল হিসেবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে।’

বারবার ফাইনাল হারলেও এই বাংলাদেশ কি বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখতে পারে? মাহমুদউল্লাহ আশার কথা শোনাচ্ছেন, ‘আমাদের শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা জিততে পারি (বিশ্বকাপ)। ভালোভাবেই বিশ্বাস করি। তবে এটাও বলতে হবে, আমরা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারি না। বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে আপনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেন না। আপনাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। ক্রিকেটে আপনি প্রতিদিন শিখতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার ভুল থেকে, সেটা হতে পারে আপনার পারফরম্যান্স থেকে।’