৩ বছর পর আরাফাত সানি

৭ উইকেট নিয়েছেন সানি। সৌজন্য ছবি
৭ উইকেট নিয়েছেন সানি। সৌজন্য ছবি
>

২০ তম জাতীয় লিগের প্রথম পর্বে ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখালেও দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে বোলারদের মুখে হাসি। বোলারদের সাফল্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল আরাফাত সানি। নিয়েছেন ৫৭ রানে ৭ উইকেট। ৩ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেলেন বাঁহাতি স্পিনার।

জাতীয় লিগের প্রথম পর্বে ৭ উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের নানা জটিলতায় পথ হারিয়ে ফেলা আরাফাত সানি এবার লিগটা রাঙানোর আভাস দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে তিনি আরও উজ্জ্বল। আজ ফতুল্লায় দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনেই সানির ঘূর্ণিতে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ভালো অবস্থানে ঢাকা মহানগর। ২০৬ রানে ঢাকা অলআউট হয়ে গেলে ব্যাটিংয়ে নেমে মহানগর দিন শেষ করেছে ২৬ রানে।

মহানগর টস জিতে কেন বোলিং নিয়েছে, সেটি প্রমাণ করতে ১১ তম ওভারেই ঢাকার ওপেনার আবদুল মজিদকে (১৭) তুলে নিলেন সানি। বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণি জাদু থামেনি, বরং চলেছে ইনিংসজুড়ে। ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে টালমাটাল হয়ে পড়ে ঢাকা বিভাগ, যার ৪টি সানির। ৫৭ রানে ৭ উইকেটের বোলিং ফিগার বলছে আজ কতটা দুর্দান্ত ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ স্পিনার। ৩ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেলেন সানি। সবশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১৫ সালের অক্টোবরে। সানির বাঁহাতি স্পিনে যখন ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস উঠছে, তখন তাইবুর রহমান যা একটু লড়েছেন। মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৮৮ রান।

জাতীয় লিগের প্রথম পর্বে ব্যাটসম্যানের দাপট থাকলেও আজ দ্বিতীয় পর্বের শুরুর দিনে হাসি ফুটেছে বোলারদের মুখে। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে বরিশাল দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তুলে। আবদুর রাজ্জাক ১০৩ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ৩ উইকেটে । রাজশাহীতেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। রাজশাহীর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে রংপুর অলআউট ১৫১ রানে। ফরহাদ রেজা ও মোহর শেখ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মিজানুর রহমানের ফিফটিতে রাজশাহী দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৯৯ রান তুলে।

প্রথম দিনে একমাত্র সেঞ্চুরি এসেছে কক্সবাজারে। সিলেটের বিপক্ষে ১০৬ করেছেন চট্টগ্রামের ওপেনার সাদিকুর রহমান। তবুও চট্টগ্রামের স্কোরটা খুব একটা বড় হয়নি, দিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ২৮২ রান করে।