বড় বাঁচা বেঁচেছেন হেইডেন

বড় ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছেন হেইডেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
বড় ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছেন হেইডেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ইনস্টাগ্রামে দুই দিন আগে একটি ছবি দিয়ে ভড়কেই দিয়েছিলেন ম্যাথু হেইডেন। চকচকে মাথার উপরিভাগটা রক্তাক্ত, ক্ষত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সঙ্গে থাকা ক্যাপশন বুঝতে দেয়নি, ব্যাপারটা কতটা জটিল ছিল। ছেলের সঙ্গে সার্ফিং করতে গিয়ে হেরেছেন আর ব্যথা পেয়েছেন এটুকুই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু গতকাল জানা গেল, সার্ফিং করতে গিয়ে একটুর জন্য মরতে বসেছিলেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ওপেনার!

কুইন্সল্যান্ডের স্ট্র্যাডব্রোক দ্বীপে বড় ছেলে জশের সঙ্গে সার্ফিং করছিলেন হেইডেন। কিন্তু ছুটির মাঝপথেই সার্ফিং থামিয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে তাঁকে। সার্ফিং দুর্ঘটনায় একটি কশেরুকায় ফাটল ধরেছে তাঁর। সে সঙ্গে দুটো লিগামেন্টও ছিঁড়ে গেছে দীর্ঘদেহী সাবেক ওপেনারের। গতকাল ইনস্টাগ্রামে নতুন একটি ছবি দিয়েছেন। ঘাড়ে ব্রেস পরিহিত হেইডেন এমন ঘটনা জানাতেও হালকা রসিকতা করেছেন। লিখেছেন, ‘প্রতিজ্ঞা করে বলছি দৃষ্টি আকর্ষণের সর্বশেষ চেষ্টা এটি। শুধু স্ট্রাডির (স্ট্র্যাডব্রোক দ্বীপ) বন্ধুদের এত সহযোগিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশেষ করে বেন ও সু কেলিকে; দ্রুত এমআরআই, সিটি স্ক্যান করে দেওয়ার জন্য। সি সিক্সে (কশেরুকা) চিড় ধরেছে। সি ফোর, ফাইভ লিগামেন্ট ছিঁড়েছে। কানের পাশ দিয়ে বুলেট গেছে। সবাইকে ধন্যবাদ। আরোগ্যের পথে।’

দুর্ঘটনা নিয়ে কুরিয়ার মেইলের সঙ্গে কথোপকথনে হেইডেন আরও বলেছেন, ‘সেশনের এক ঘণ্টা পার হওয়ার পরের ঘটনা এটি। এর মধ্যেই ছয়টি ঢেউ সামলেছি। হঠাৎ ডান দিক থেকে একটা ঢেউ এল, যা দেখে আমি মাথা নিচু করেছিলাম। এটুকুই মনে আছে। না, অজ্ঞান হইনি। আমাকে বালুতটে ছুড়ে ফেলা হলো। মাথার ওপর পুরো শরীর পড়েছিল। তারপর আমার ওজন আর ঢেউর ওজনে মাথা ঘুরে গেল। ঘাড়ে প্রচণ্ড এক শব্দ হলো। তারপরও অজ্ঞান হইনি। ওই অবস্থাতেই শরীর ঘুরে গেল।’

কুইন্সল্যান্ডে এবারই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়েননি হেইডেন। ২০০০ সালে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সঙ্গে ঘোরার সময় নৌকা উলটে গিয়েছিল হেইডেনের। দুজনে এক কিলোমিটার সাঁতরে তীরে এসেছিলেন সেবার।