শাস্ত্রী-কোহলিকে ভয় পান ভারতীয় নির্বাচকেরা!

>
শাস্ত্রী-কোহলিদের ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়াতেই পারেন না ভারতীয় নির্বাচকেরা? ফাইল ছবি
শাস্ত্রী-কোহলিদের ব্যক্তিত্বের সামনে দাঁড়াতেই পারেন না ভারতীয় নির্বাচকেরা? ফাইল ছবি

এম এস কে প্রসাদ, কিংবা দেবাং গান্ধী; যতীন পরাঞ্জপে বা গগন খোড়া কিংবা শরণদীপ সিংয়ের কথাই ধরুন। ভারতীয় নির্বাচক কমিটির এই পাঁচ সদস্যের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার একসঙ্গে করলেও তা রবি শাস্ত্রী কিংবা বিরাট কোহলির ধারেকাছে পৌঁছবে না। দল নির্বাচনে ব্যক্তিত্বে নির্বাচকেরা শাস্ত্রী-কোহলিদের চেয়ে যে পিছিয়েই থাকছেন, এ ব্যাপারে সাবেক উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানির কোনো সন্দেহই নেই।

সৈয়দ কিরমানিই তুললেন ব্যাপারটা। ভারতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচনের দায়িত্ব যাদের, সেই নির্বাচক কমিটি যে কোচ রবি শাস্ত্রী আর অধিনায়ক বিরাট কোহলির চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা রাখে না, দুম করে এই অপ্রিয় কথাটা বলেই ফেললেন ভারতের সাবেক এই উইকেটরক্ষক।
কিরমানি কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারতের নির্বাচক কমিটিতে যে নামগুলো আছে, ক্রিকেটীয় মাপকাঠিতে এঁরা কেউই শাস্ত্রী ও কোহলির কাছাকাছিও আসার ক্ষমতা রাখেন না। সে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন পুরোপুরিই শাস্ত্রী আর কোহলির পছন্দ-অপছন্দের ছন্দ মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে।
দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কিরমানি বলেছেন, ‘কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে ভারতীয় ক্রিকেট দলে রবি শাস্ত্রীর ভূমিকাটা কী, তাহলে আমি রাখঢাক না রেখেই বলব, সে একাধারে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক। কোহলি আর অন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে টিমটা শাস্ত্রীই ঠিক করে দেয়।’
তাহলে এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি? কিরমানি তাদের ঠুঁটো জগন্নাথই মনে করেন, ‘বর্তমানে যাঁরা নির্বাচক কমিটিতে আছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এঁদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম, বিশেষ করে শাস্ত্রী এমনকি কোহলির সামনেও। নির্বাচকেরা শাস্ত্রী-কোহলির সঙ্গে কথা বলেই টিম ঠিক করেন। এটাতে তাঁরা নিরাপদও বোধ করেন।’
এম এস কে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচক কমিটিতে আরও আছেন দেবাং গান্ধী, গগন খোড়া, যতীন পরাঞ্জপে ও শরণদীপ সিং। এঁদের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হলেও কারোরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলার মতো কিছু নয়। প্রধান নির্বাচক এম এস কে প্রসাদ ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৬টি টেস্ট ও ১৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। দেবাং গান্ধী ১৯৯৯ সালে ৪টা টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে আর সুযোগ পাননি। যতীন পরাঞ্জপে ১৯৯৮ সালে খেলেছেন চারটি ওয়ানডে। গগন খোড়াও টেস্ট খেলেননি, খেলেছেন ২টি ওয়ানডে, সেই ’৯৮ সালের দিকেই। শরণদীপ সিং ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ৩টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।
নির্বাচক কমিটির সবার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এক জায়গায় করলেও তা শাস্ত্রী-কোহলির ধারেকাছেও নেই। কিরমানির মতে, এই পার্থক্যটা দল নির্বাচনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে মুরলি বিজয় আর করুন নায়ারদের মতো ক্রিকেটারদের বাদ পড়ার কোনো কার্যকরী ব্যাখ্যা দিতে পারেনি নির্বাচক কমিটি।