ঢাকায় ছড়ানোর অপেক্ষায় ব্রাজিলিয়ান সৌরভ

অ্যালেক্স রাফায়েল ও মার্কোস ভিনিসিয়াস। সংগৃহীত ছবি
অ্যালেক্স রাফায়েল ও মার্কোস ভিনিসিয়াস। সংগৃহীত ছবি
>নতুন মৌসুমে শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল, জোগো বোনিতো। বলের ওপর নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ, দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে সাপের মতো এঁকে বেকে প্রতিপক্ষের ফাঁক গলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, চোখ ধাঁধানো পাস আর দৃষ্টিনন্দন সব গোল। এই সৌরভে বুঁদ হয়ে থাকে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও বেশ বড় একটা অংশ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ভক্ত। অনেক দিন পর আবারও ঢাকার মাঠেই পাওয়া যাবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের স্বাদ।

ঢাকার ফুটবলে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন ব্রাজিলিয়ান খেলে গিয়েছেন। তবে এক সঙ্গে দুজন ব্রাজিলিয়ান বুঝি এবারই প্রথম। আর এখন পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, এবারের খেলোয়াড়েরা আগের যে কোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে।

নতুন মৌসুমে শেখ রাসেলের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অ্যালেক্স রাফায়েল। আর নবাগত বসুন্ধরা কিংস উড়িয়ে এনেছেন মার্কোস ভিনিসিয়াস দ্য কোস্তা সোয়ারেস দ্য সিলভাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুজনের সিভিই বেশ ভারী।

রাসেলে নাম লেখানো ৩০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার অ্যালেক্সের জন্ম সাও পাওলোতে। বাংলাদেশে আসার আগে খেলেছেন ভিয়েতনামের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নাম ধিন এফসিতে। যদিও ভিয়েতনাম প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ খেলেও নামের পাশে কোনো গোল নেই। এর আগে ২০১২ সালে খেলেছেন অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেডবুল সালসবার্গে। সাদিও মানে ও নাবি কেইটাদের সাবেক ক্লাবের হয়ে ইউরোপা লিগে দুই ম্যাচ খেলারও অভিজ্ঞতা আছে শেখ রাসেলের এই ফুটবলারের। পরে জাপানের জে লিগ, থাই লিগসহ বেশ কয়েকটি লিগে খেলে এখন তাঁর ঠাঁই হচ্ছে বাংলাদেশে। রাসেলের জার্সি গায়ে তোলার আগে রাফায়েল সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছেন থাইল্যান্ডে। সেখানে থাই প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উবন ইউএমটি ইউনাইটেডের জার্সিতে ৪০ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৬ গোল।

অ্যালেক্সের চেয়ে খাতা কলমে কোনো অংশে কম নয় বসুন্ধরায় নাম লেখানো ভিনিসিয়াস। ২৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার শেষ দু মৌসুমে খেলেছেন থাইল্যান্ড লিগে। গত মৌসুমে থার্টিন এএফসির হয়ে ২৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল। বোঝাই যাচ্ছে গোলের রাস্তাটা ভালোই চেনা আছে ভিনিসিয়াসের। আর তাঁকে গোল করার বল এগিয়ে দেওয়ার জন্য কোস্টারিকার হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা ড্যানিয়েল কলিনড্রেস তো আছেনই। যিনি অনেক আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অনুশীলনে।

অ্যালেক্স, ভিনিসিয়াস কতটা সৌরভ ছড়াতে পারবেন, তা দেখার জন্য ভবিষ্যতের অপেক্ষা। এর আগে ২০০৩ সালে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন প্লেমেকার সান্দ্রো। ২০১০-১১ মৌসুমে ব্রাদার্সের জার্সিতে ঝলক দেখিয়েছিলেন এভারটন সান্তোস। তাঁর কথা এখনো দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মুখে মুখে ঘুরে। হয়তো তাঁকেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন নতুনে আসা দুজন। চলতি মাসের শেষের সপ্তাহেই ফেডারেশন কাপ দিয়ে নতুন মৌসুমের ফুটবল মাঠে গড়ানো কথা।