রোনালদোকে পেতে হিগুয়েইনকে বের করে দিয়েছে জুভেন্টাস!

এসি মিলানের জার্সিতে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন হিগুয়েইন। ছবি: রয়টার্স
এসি মিলানের জার্সিতে নিজেকে ফিরে পাচ্ছেন হিগুয়েইন। ছবি: রয়টার্স

এবারের দলবদলের গল্পগুলোতে ধুলো জমতে বসেছে। নতুন দলবদলের মৌসুম তো এরই মাঝে ডাক দিচ্ছে, জানুয়ারিতেই আবারও এক দফা ক্লাব পাল্টানোর গল্প সৃষ্টি হবে। সেই কবে জুলাই-আগস্টে হওয়া দলবদল নিয়ে আলোচনা কেই-বা করতে চায়। কিন্তু দুই মাস পুরোনো দলবদলের গল্পের জমে ওঠা ধুলো উড়িয়ে এখনো চমকের জন্ম দিচ্ছেন কেউ কেউ। এ মৌসুমের সবচেয়ে বড় দলবদলের গল্পটাই যেমন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য জুভেন্টাস দল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে।

এবার রোনালদো একটি অবিশ্বাস্য কাজ করতে পেরেছেন। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগেও মানুষকে বিশ্বকাপের কথা ভুলিয়ে দিতে পেরেছেন। সবাইকে চমকে দিয়ে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে এসেছেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। রোনালদো, দিবালা, মানজুকিচ, কস্তা ও হিগুয়েইন সমৃদ্ধ আক্রমণভাগের জুভেন্টাসকে কে আটকাবে সে চিন্তা মাথায় আসার আগেই অবশ্য আরেকটি দলবদলের খবর চলে এসেছে। হিগুয়েইনকে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব এসি মিলানে ধারে পাঠিয়ে দিচ্ছে জুভেন্টাস!

দুই বছর আগে ক্লাব রেকর্ড ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে টেনেছিল জুভেন্টাস। তাঁর কাছে ক্লাবের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি পুরোপুরি। লিগে ৭৩ ম্যাচে ৪০ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় জুভেন্টাসের প্রভাব ফেলার আশা পূরণ হয়নি হিগুয়েইনের মাধ্যমে (২২ ম্যাচে ১০ গোল)। এ কারণেই রোনালদোর শরণ নিয়েছে জুভেন্টাস। আর বাড়তি বেতনের ধাক্কা সামলাতেই মিলানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হিগুয়েইনকে। এভাবে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় জুভেন্টাসের ওপর রাগ নেই হিগুয়েইনের। তবে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা যে তাঁর ছিল না সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘এখনো ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা আছে আমার। কারণ ওরা আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে। সতীর্থ, সমর্থকেরা সব সময় ভালোবেসেছে। কিন্তু আমি যেতে চাইনি। সবাই বলে, ওরা আমাকে বের করে দিয়েছে। আমি জানতাম সম্পর্কে (ক্লাবের সঙ্গে) ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং এরপর তারা রোনালদোকে নিল। ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমি নিইনি।’

জুভেন্টাস ছেড়ে মিলানে কেন গেলেন। এ প্রশ্নের জবাবেও হিগুয়েইন জানিয়েছেন সিদ্ধান্তটা জুভেন্টাসই নিয়েছে, ‘আমি জুভেন্টাসের জন্য সর্বোচ্চ করেছি। বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতেছি। ক্রিস্টিয়ানো আসার পর ক্লাব চেয়েছিল মান বাড়াতে এবং আমাকে বলা হলো আমি আর এখানে থাকতে পারব না। এবং তারা এর সেরা সমাধান খুঁজছে। সেরা সমাধান বের হলো, মিলান।’ মিলানের পক্ষে অবশ্য ভালো ফর্মেই আছেন। ৭ ম্যাচে গাত্তুসোর হয়ে ৬ গোল করেছেন হিগুয়েইন।